স্বাস্থ্য কণিকা: লজ্জাবতী, স্থানীয়ভাবে একে লজ্জাবতী, সমঙ্গা, লজ্জালু, অঞ্জলিকারিকাও বলা হয়। এর পাতা ও ফুল ব্যবহার করা হয়। এর অনেক ঔষধি গুণ রয়েছে। হাত-পা জ্বালা, অর্শ্ব, রক্তপিত্ত, যোনির ক্ষত, নাড়ি সরে আসায়, আঁধারযোনি ক্ষতে, আমাশয়, দমকা ভেদ, মল কাঠিন্যে, দাঁতের মাড়ি ক্ষতে, বগলে দুর্গন্ধ, কানের পুঁজে, গ্রন্থিবাত, কুজ্জতা বিভিন্ন রোগে লজ্জাবতী বেশ উপকারী। আজ আমরা জেনে নেই কিভাবে লজ্জাবতী খেতে হবে—
হাত-পা জ্বালা নিরাময়ে: হাত-পা জ্বালার সঙ্গে শরীরে জ্বর থাকে। এটা সাধারণত বর্ষা ও শরৎকালে পিত্ত বিকারে দেখা দেয়। এ ক্ষেত্রে লজ্জাবতীর গাছ মূল পাতা ১০ গ্রাম ৪ কাপ পানিতে সিদ্ধ করে এক কাপ থাকতে নামিয়ে ছেঁকে সেবন করলে উপকারে লাগে।
অর্শ্ব রোগ: অর্শ্বের বলিতে জ্বালা বেশি। ঝাল না খেয়েও যেন সেই রকম যন্ত্রণা। তার সঙ্গে রক্তস্রাবও বেশি হতে থাকে। এক্ষেত্রে গাছে ও মূলে ১০ গ্রাম আন্দাজ এক কাপ দুধ ও তিন কাপ পানি এক সঙ্গে মিশিয়ে একত্রে সিদ্ধ করে এক কাপ থাকতে নামিয়ে ছেঁকে নিয়ে প্রত্যেক দিন সকাল-বিকেল দু’বার খেতে হবে। ছাগলের দুধ হলে ভাল হবে।
নাড়ি সরে আসা: বহু প্রসূতি সন্তান প্রসবের সময় ধাত্রীর অসাবধানতায় নাড়ি সরে যায়, উঁচু হয়ে বসতে গেলে অস্বস্তিবোধ করে। এক্ষেত্রে লজ্জাবতীর ১০ গ্রাম আন্দাজ গাছপাতা চার কাপ পানিতে সিদ্ধ করে এক কাপ থাকতে নামিয়ে ছেঁকে নিয়ে এটা প্রতিদিন সকাল-বিকেল দু’বার খেলে ঠিক হয়ে যাবে।
আমাশয়: লজ্জাবতীর ডাঁটা পাতা মিলিয়ে ১০ গ্রাম সিদ্ধ করে ছেঁকে খেতে হবে। আর যাদের আমযুক্ত গাঁজলা দাস্ত হয়, তারা শুধু পাঁচ বা ছয় গ্রাম সিদ্ধ করে ছেঁকে ওই পানি খেলে উপকার পাবেন।
ঘামের দুর্গন্ধ দূরে: অনেকের ঘামে দুর্গন্ধ হয় এবং পোশাকে হলদে দাগ লাগে। এক্ষেত্রে লজ্জাবতী গাছের ডাঁটা ও পাতার ক্বাথ তৈরি করে বগল ও শরীর মাখতে হবে। তাহলে এ অসুবিধা দূর হবে।