ফিচার

সাতক্ষীরায় আবারো যুদ্ধাপরাধ মামলার সাক্ষী সাংবাদিকের বাড়ির পাশে গভীর রাতে সশস্ত্র সন্ত্রাসী বাহিনী

By Daily Satkhira

November 02, 2018

নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরায় আবারো দুই সাংবাদিকের বাড়ির পাশে দা বাহিনীর আনাগোনায় আতংকিত হয়ে পড়েছে শহরবাসী। বুধবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে শহরের পলাশপোল এলাকায় সাংবাদিক মেহেদী আলী সুজয়ের বাড়ির পিছনে এবং সাতক্ষীরার যুদ্ধাপরাধ মামলার অন্যতম সাক্ষী সাংবাদিক হাফিজুর রহমান মাসুমের বাড়ি থেকে মাত্র ১০০ গজ দূরে আবারো ওই বাহিনীর সদস্যরা অবস্থান নেয় বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। এবার ওই বাহিনীর সামনে পড়েন পলাশপোল তেঁতুলতলা এলাকার মৃত শরিতুল্লাহ’র স্ত্রী ও রং পালিশ শ্রমিক ইউনিয়নের সদর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ফারুকুজ্জামানের মাতা মনোয়ারা বেগম (৬০)। ভুক্তভোগী মনোয়ারা বেগম জানান, তিনি প্রতিদিনের ন্যায় তার বাড়ির বারান্দার কামরায় শুয়ে ছিলেন। আনুমানিক রাত ৩ টার দিকে তার কামরার বেড়ার পাশে কয়েকজন মানুষের আওয়াজ শুনতে পেয়ে তিনি ‘কারা ওখানে’ এমন কথা বললে তাকে কথা বললে জবাই করা হবে মর্মে হুমকি দেয় অজ্ঞাত ব্যক্তি। কিন্তু তিনি ভয়ে আরো জোরে চিৎকার দিলে তার স্বজন এবং প্রতিবেশিরা বের হওয়ার পূর্বেই ওই বাহিনীর সদস্য চলে যায়। এঘটনা ছড়িয়ে পড়লে পলাশপোল এলাকায় আবারো আতংক ছড়িয়ে পড়েছে। আতংঙ্কিত থাকার কারণে তারা কয়জন ছিলো এবং কেমনভাবে ছিলো সেটি বুঝতে না পারলেও ৬/৭ জন ব্যক্তি ছিলো বলে মনোয়ারা খাতুন জানান। এর আগে পর পর দুইবার এধরনের বাহিনীর আনাগোনায় সন্ত্রস্ত্র হয়ে পড়ে শহরবাসী। কিন্তু এঘটনায় পুলিশ কোন ক্লু উদ্ধার করতে পারেনি। অথচ ঘটনার মাত্র ১ মাস পার না হতেই আবারো এধরনের বাহিনীর আনাগোনায় আতংক বিরাজ করছে। উল্লেখ্য, গত ২৮ সেপ্টেম্বর পত্রিকা অফিসের কাজ শেষে বাড়ি ফিরে নিজ বাড়ির সামনেই ওই সশস্ত্র বাহিনীর সামনে পড়েন দৈনিক কালের চিত্রের মফস্বল সম্পাদক মেহেদীআলী সুজয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি বড় সেলাইরেন্স উদ্ধার করে। এঘটনায় সাতক্ষীরা সদর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন ঘটনাস্থলের সম্মুখের বাসিন্দা বিশিষ্ট সাংবাদিক ও নাগরিক নেতা হাফিজুর রহমান মাসুম। ঘটনার ৩ দিন অতিবাহিত হতে না হতেই গত ১ অক্টোবর গভীর রাতে আবারো ওই দা বাহিনীর হুমকির সম্মুখীন হন এক নৈশ প্রহরী। তিনি পলাশপোল এলাকার বিল্লাল হোসেন। এঘটনার পর থেকে তিনি ওই এলাকায় নৈশ প্রহরার দায়িত্বই ছেড়ে দিয়েছেন। বুধবার দিবাগত রাতের ঘটনার সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান। এ বিষয়ে সদর থানার তিনি বলেন, এধরনের ঘটনার সাথে কারা জড়িত আমরা খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি। সকল অফিসারদের নিয়ে এ বিষয়ে আলোচনাও করা হয়েছে।