সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বাঁশদহায় দৈনিক আজকের প্রতিনিধি জুলফিকার হোসেনকে বেধড়ক পিটিয়ে তার হাতের একটি নখ উপড়ে দিয়েছেন স্থানীয় চেয়ারম্যান ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী। এ ঘটনায় একটি মামলাও দায়ের করা হয়েছে সাতক্ষীলা সদর থানায়। যদিও পুলিশ এখনও পর্যন্ত প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ানো আসামিদের গ্রেফতার করতে পারেনি। এ ঘটনায় সাতক্ষীরাসহ সারাদেশের সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ তীব্র প্রতিবাদ ও দোষিদের অবিলম্বে আটকের দাবি জানিয়ে প্রতিনিয়ত বিবৃতি দিচ্ছেন। সামনে হয়ত আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করতে পারেন তারা। মোশারফ চেয়ারম্যানের সন্ত্রাসী বাহিনীটির যে পরিচয় আমরা পাচ্ছি তা আরও ভয়ংকর। তার আত্মীয়দের নিয়ে গড়া নিজস্ব বাহিনীর সদস্যরা কেউ ইয়াবা ব্যবসা করেন এবং নিয়মিত ইয়াবা সেবনের আড্ডা বসান। কেউ যখন তখন যাকে খুশি দাঁত-মুখ ভাঙেন। চেয়ারম্যান নিজেই নারী-শিশু নির্যাতন দমন আইনে আদালতের রায়ে ১৪ বছরের সশ্রম কারাদ-প্রাপ্ত ব্যক্তি! ভারতীয় সীমান্তবর্তী বাঁশদহা ইউনিয়ন মাদক, অস্ত্র ও স্বর্ণ চোরাচালানের গুরুত্বপূর্ণ রুট। এই রুট দিয়ে যেসব অবৈধ ব্যবসা চলছে তার থেকে নিয়মিত মাসোহারা নিয়ে নিজ বাহিনীকে আর্থিকভাবে লালন-পালন করছেন এই চেয়ারম্যান। সাংবাদিক জুলফিকার ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে করা ১০টাকা কেজি দরের চাউলের কার্ড বিতরণে অনিয়মের একটি সংবাদ প্রকাশ করে চেয়ারম্যানের রোষানলে পড়েন। তারই জের ধরে চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে তার সন্ত্রাসী বাহিনী বেধড়ক পিটিয়ে আহত করে সাংবাদিক জুলফিকারকে। এসময় তার হাতের একটি নখও উপড়ে ফেলে নৃশংস ওই সন্ত্রাসী চক্রটি। দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করে যদি এধরনের নির্যাতনের শিকার হতে হয়Ñআর নির্যাতনকারী যদি প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ায় তবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলার নৈতিক অধিকার সরকারের আর থাকে কি নাÑ সে প্রশ্ন উঠতেই পারে। বৃহস্পতিবার, ০৫ জানুয়ারি ২০১৬