খেলা

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ঢাকায় নেওয়া হলো চামেলীকে

By daily satkhira

November 02, 2018

অনলাইন ডেস্ক: পায়ের লিগামেন্ট ছিঁড়ে ও মেরুদণ্ডের দুই হাড়ের ডিস্ক নষ্ট হয়ে মৃত্যুশয্যায় থাকা বাংলাদেশ জাতীয় নারী ক্রিকেট দলের সাবেক অলরাউন্ডার চামেলী খাতুনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ঢাকায় নেওয়া হয়েছে। শুক্রবার সকালে জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে আকাশপথে রাজশাহীর বাসা থেকে চামেলীকে ঢাকা নিয়ে যাওয়া হয়।

চামেলীর সঙ্গে তার মা, বড় বোন, ভগ্নীপতি ও জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মামনুন রয়েছেন। এছাড়া বাড়ি থেকে বিমানবন্দর নেওয়া পর্যন্ত তাদের সঙ্গে রাজশাহীর একজন আনসার সদস্য ছিলেন। ঢাকায় আলাদা আরেকজন আনসার সদস্য চামেলীর সঙ্গে সার্বক্ষণিক থাকবেন।

রাজশাহীর জেলা প্রশাসক এসএম আবদুল কাদের জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চামেলীর চিকিৎসার সমস্ত দায়িত্ব নিয়েছেন। তার নির্দেশনা মোতাবেক চামেলীকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। ঢাকায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) তাকে প্রথমে পঙ্গু হাসপাতালে নিয়ে যাবে। সেখানে তার শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে। দেশে তার চিকিৎসা সম্ভব না হলে প্রয়োজনে বিদেশে পাঠানো হবে।

এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধি এনডিসি আনিসুর রহমান তার বাসায় গিয়ে জানান, যত দ্রুত সম্ভব চামেলীকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হবে। পরিবারের সঙ্গে আলোচনার পর চামেলী ঢাকা যেতে সম্মত হন। চামেলীর বাড়ি রাজশাহী নগরীর দরগাপাড়ায়। ২০১১ সালে পায়ের লিগামেন্ট ছিঁড়ে গেলে চামেলী জাতীয় দল থেকে অবসর নেন। তারপর চাকরি নেন আনসার ভিডিপিতে। কিন্তু লিগামেন্ট ছিঁড়ে যাওয়ার পাশাপাশি চামেলীর মেরুদণ্ডের দুই হাড়ের ফাঁকে থাকা নরম ডিস্কগুলোও নষ্ট হয়ে গেছে। এতে তার শরীরের পুরো ডান পাশ অবশ হয়ে যাচ্ছে। আর্থিক অনটনে ৮ বছর ধরে প্রায় বিনা চিকিৎসায় ধুঁকছিলেন এক সময়ের মাঠ কাঁপানো এই অলরাউন্ডার। গত ৩০ অক্টোবর ইত্তেফাকে ‘অর্থাভাবে মৃত্যুশয্যায় নারী ক্রিকেটার চামেলী’শীর্ষক শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হলে ওই দিনই তার পাশে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন জাতীয় দলের ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান, মুস্তাফিজুর রহমান ও রুবেল হোসেন।

চামেলীর বাড়িতে ছুটে যান রাজশাহী সদর আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা, রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, বিসিবির পরিচালক স্বপন চৌধুরীসহ অনেকেই। মেয়র ও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক দুই লাখ টাকা আর্থিক সহায়তাও পান চামেলী। তবে এর আগেই প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টিতে পড়েন চামেলী।

এখন উন্নত চিকিৎসায় সুস্থ্য হয়ে বাঁচার স্বপ্ন দেখছেন চামেলী। শুক্রবার রাজশাহী থেকে বিমানে ওঠার আগে তিনি সাংবাদিকদের বললেন, ‘আমার কথা হয়তো সবাই ভুলেই গিয়েছিলেন। আমিও সেভাবে কাউকে কিছু জানাতে পারিনি। মিডিয়ার কারণে সবাই জানতে পেরেছেন। প্রধানমন্ত্রী আমার দায়িত্ব নিয়েছেন। এখনই মানসিক সুস্থতা অনুভব করছি। শারীরিক সুস্থতাও হয়তো পেয়ে যাব। সম্ভব হলে দেশের হয়ে আবার খেলব।’