অনলাইন ডেস্ক: নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনার আলোকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বার্ষিক পরীক্ষা ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করার সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে স্কুলগুলো। এ সংক্রান্ত নির্দেশনা শিক্ষা অধিদপ্তর থেকেও স্কুলগুলোকে জানিয়ে দেয়া হবে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, জাতীয় নির্বাচনে ভোটগ্রহণের জন্য দেশের প্রায় সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানই দরকার। দরকার শিক্ষকও। তাই নির্বাচনের সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও শিক্ষকদের শিক্ষা কার্যক্রম মুক্ত রাখতে স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষা এবং বিভিন্ন শ্রেণিতে ভর্তি পরীক্ষা কার্যক্রম আগেভাগেই শেষ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল শিক্ষামন্ত্রণালয় ও প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রণালয়। নির্বাচনের কমিশনের নির্দেশনার আগেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। প্রাথমিক স্কুলগুলোর বার্ষিক পরীক্ষা ১১ থেকে ১৮ ডিসেম্বর হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু মন্ত্রণালয় এটি এগিয়ে আনে। এই পরীক্ষা ২৯ নভেম্বর শুরু হয়ে ৬ ডিসেম্বরের মধ্যে তা শেষ করতে ইতোমধ্যে আদেশ জারি করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। অন্যদিকে মাধ্যমিক স্তরের পরীক্ষা এগিয়ে আনার সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছিল ২০ সেপ্টেম্বর। ওই দিন সাংবাদিকদের জানানো হয়েছিল মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষা ২৮ নভেম্বর শুরু হয়ে শেষ হবে ১১ ডিসেম্বর। ফল প্রকাশ হবে ৩০ ডিসেম্বর।
তবে নির্বাচন কমিশন ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করার নির্দেশনার জন্য এই স্তরের পরীক্ষা নতুন করে নির্ধারণ করা হবে। ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক তপন কুমার সরকার ইত্তেফাককে জানান, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনার আলোকে স্কুলগুলোতে নির্দেশনা যাওয়ার কথা রয়েছে। প্রধান শিক্ষকরা জানিয়েছেন, ১১ ডিসেম্বরের পরীক্ষা নির্ধারিত সময়ের একদিন আগে কোনো এক ছুটির দিনেও নেওয়া যাবে। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের (মাউশি) পরিচালক (মাধ্যমিক) অধ্যাপক ড. আবদুল মান্নান জানান, নির্বাচনের কারণে শিক্ষকদের আগেভাগে একাডেমিক কাজ থেকে মুক্ত করে দেওয়া হবে। ভর্তি পরীক্ষাও মধ্য ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তিনি জানান, ১৭, ১৮ ও ১৯ ডিসেম্বর সরকারি স্কুলের ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। তবে নির্বাচন কমিশন যেহেতু ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করার কথা বলেছে এটা নতুন করে ভাবতে হবে। এছাড়া এই তিনটি পরীক্ষা নির্ধারিত সময়ে নেওয়া যায় কিনা সেটা নিয়েও নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আলোচনা করা যেতে পারে। আলোচনা করেই দ্রুত এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া ও জানানো হবে। জেএসসি পরীক্ষা গত ১ নভেম্বর থেকে শুরু হয়েছে । দেশের ২৯ হাজার ৬৭৭টি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা আগামী ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত দুই হাজার ৯০৩টি কেন্দ্রে জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষায় অংশ নেবে।
এছাড়া ১৮ নভেম্বর থেকে শুরু হবে প্রাথমিক ও ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা। এই পরীক্ষা চলবে ২৬ নভেম্বর পর্যন্ত।