কলারোয়া প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা কলারোয়ায় ‘ছাত্রলীগকে বিতর্কের উর্ধ্বে রাখার আহবান জানিয়ে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম লাল্টুসহ নেতৃবৃন্দ বলেছেন, ২০১৭ সালের অঙ্গীকার হোক অনুপ্রবেশকারী ও পরগাছামুক্ত ছাত্রলীগ। এই অনুপ্রবেশকারী ও পরগাছা হচ্ছে ছাত্রলীগের এগিয়ে যাওয়ার প্রধান বাঁধা। এদের চিহিৃত করতে হবে। ছাত্রলীগের কমিটি দেওয়ার সময় সতর্ক থাকতে হবে, যেন এই পরগাছারা দলের মধ্যে অনুপ্রবেশ করে বিভিন্ন জায়গায় সমস্যার সৃষ্টি না করে। গোটা কয়েক অনুপ্রবেশকারী পরগাছার কারণে বদনাম হয় গোটা দলের। বুধবার সকালে পৌর সদরের বাস স্টা- সংলগ্ন বিশ্বাস মার্কেট প্রাঙ্গনে মোমবাতি জ্বেলে উপজেলা ছাত্রলীগের জমকালো আয়োজনে মধ্যে দিয়ে ৬৯তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভা ও কেক কাটার মধ্যে দিয়ে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন করা হয়। উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তরুন চেয়ারম্যান শেখ ইমরান হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। লাল্টু আর বলেন, জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিতর্কের উর্ধ্বে রাখতে হলে ছাত্রলীগকেও বিতর্কের উর্ধ্বে উঠতে হতে। ছাত্রলীগের বিতর্কিত ব্যক্তিদের বাদ দিয়ে কমিটি করতে হবে। ত্যাগী কর্মীরা যেন কোনঠাসা না হয় সেদিকে বিশেষ লক্ষ্য রাখতে হবে। অমকের এই ভাগ,তমুকের ওই ভাগ-এ সব ভাগাভাগি করলে ছাত্রলীগের অগ্রযাত্রা ব্যাহত হবে এবং সুনাম ক্ষুন্ন হবে। বিএনপির সমালোচনা করে বলেন, আজকের বিএনপির বুদ্ধিজীবীরা বলে, বিএনপি হাঁটুভাঙ্গা দল। আমি বলব ফেলে আসা বছরের সবচেয়ে ব্যর্থ দল বিএনপি। নারায়নগঞ্জসহ সারা দেশে জেলা পরিষদ নির্বাচনে বিএনপি জেতা অস্বাভাবিক। জাতীয় নির্বাচনে হারার পর বিএনপি দিশেহারা দলে পরিনত হয়ে গেছে। এখন তারা আবোল-তাবোল বকছে, উন্মাদের মতো হয়ে গেছে। বিবৃতি সর্বস্ব কর্মকান্ড করছে। তাই আমি আমার সহকর্মীদের বলি এদের সকল প্রশ্নের জবাব দেওয়ার দরকার নেই। এরা এমনই একটা দলে পরিনত হয়ে গেছে, যেটা নিয়ে আমাদের আর মাথা ঘামাবার দরকার নেই। ছাত্রলীগের সাবেক এই নেতা আর বলেন, গনতন্ত্র চর্চার জন্যে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়-কলেজে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন। নতুন বছরে আমাদের সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে সাম্প্রদায়িক উগ্রবাদ। উন্নয়নের মহা-সড়কে যাওয়ার প্রধান বাধা এই উগ্র সাম্প্রদায়িক। আজকে এই চ্যালেঞ্জ গ্রহন করতে হবে। সকল বাধা-প্রতিবন্ধকতাকে অতিক্রম করার শপথ নিতে হবে। এ সময় ছাত্রলীগের ৬৯তম প্রতিষ্ঠা বাষির্কীতে আর বক্তব্য দেন উপজেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি আব্দুর রহিম, পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি আজিজুর রহমান, উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি সাবেক ছাত্রনেতা শেখ মাসুমুজ্জামান মাসুম, সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক আহম্মেদ। উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস হোসেন রাসেলের পরিচালনায় প্রতিষ্ঠা বাষির্কীতে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কমিটির তরুন প্রজন্মের ছাত্রনেতা সহ-সভাপতি আবু সাঈদ, হাফিজুর রহমান মিন্টু, জাহিদুর রহমান তুষার, মাসুম রাজীব, আলী ইমতেয়াজ শুভ, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শাকিল খান জর্জ, আহাদুজ্জামান সুমন, সবুজ হোসেন, শেখ সাদি (রাফি), সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ আবু বক্কর সিদ্দিক জনি, শেখ শাহিন, জি এম তুষার, আব্দুর রাজ্জাক নাহিদ, দপ্তর সম্পাদক ইমতিয়াজ আহম্মেদ রিমু, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শেখ এরশাদুল হক, শিক্ষা ও পাঠাগার সম্পাদক কৌশিক বসু, ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক শামীমুজ্জামান টিপু, অর্থ বিষয়ক সম্পাদক রিপন হোসেন, আইন বিষয়ক সম্পাদক কাজী রিপন,আন্তজার্তিক বিষয়ক সম্পাদক জাহিদ হোসেন নয়ন, তথ্য ও গবেষনা বিষয়ক সম্পাদক শেখ লাম,সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক আলী নেওয়াজ, ত্রান ও পুর্নবাসন সম্পাদক শেখ সোহেল রানা, ছাত্রী বিষয়ক সম্পাদিকা ডেইজী পারভীন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক শামছুজ্জামান টিটু,পাঠাগার বিষয়ক সম্পাদক তুষার,সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক ইমরান হোসেন বাপ্পী,ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক নূর ইসলাম বাপ্পা, সহ-সম্পাদক শেখ আরিফ হোসেন, বাবু, রুবেল, ইয়াছিন আরাফাত, লাল্টু, বাপ্পী খান, ইকবাল হোসেন, টিপু সুলতান, মেহেদী হাসান মিলন, তৌহিদ হোসেন, জনি, প্রিন্স, আহাদ হোসেন, শেখ নূরুল আম্বিয়া, আসাদুজ্জামান এছাড়া সাধারণ সদস্যরা হল- মৃনময় জ্যোতি, রাশেদ আহম্মেদ, মেহেদী হাসান শাওন, মিঠুন, মিলন কুমার, শরিফ হোসেন, শেখ আল মামুন, কাজী আরোজ,মোজাহিদুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর, রিপন, শেখ আলি রেজা, সবুজ হোসেন, বিপু, আশিকুর রহমান, বাপ্পা ইসলাম, শুভ, আশিক হোসেন, খালিদ হোসেন, শেখ সোহান, শেখ বাপ্পী, কাজী রাব্বী, মহবুবুর রহমান,সামছুজ্জামান টিটু, আবু সাঈদ সুমন ও শেখ সাকিবসহ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও পৌর ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ প্রমুখ।