অনলাইন ডেস্ক: তরকারি হিসেবে কাঁচা কলা দারুণ জনপ্রিয়। আর পাকা কলার কথা তো বলাই বাহুল্য। কিন্তু খাবার হিসেবে আসলে কোনটি বেশি ভালো? খাদ্যবিশারদদের মতে, দুটিরই ভালো-মন্দ দিক আছে। এ নিয়েই আজকের টিপস।
পাকা কলার ভালো-মন্দ বেশির ভাগ মানুষের কাছে পাকা কলাই সেরা। তবে পাকা কলা মানেই যেন ফল খাচ্ছি মনে হয়। আসলে পাকা-কাঁচা দুটিই ফল। কাঁচা কলা তরকারি হিসেবে খেতে হবে। পাকা কলার কিছু দোষ-গুণ আছে।
উপকার: কলা পাকানোর স্বাভাবিক প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে রেজিস্ট্যান্স স্টার্চ। এটি ফলটিকে আরো সহজে ভক্ষণযোগ্য করে। এর ফাইবার আরো হজমযোগ্য হয়। এ প্রক্রিয়াকে বলে পেকটিন। পাকা কলায় আরো থাকে প্রাকৃতিক চিনি। এ জন্য কলা খেতে মিষ্টি হয়। যে কলা পেকেছে, তা দ্রুত হজম হয়। এর পুষ্টিগুণের কথা বলে শেষ করা যাবে না। কাঁচা কলা অপেক্ষা পাকা কলায় অনেক বেশি অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে।
অপকার: পাকা কলা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য হুমকি হয়ে ওঠে। রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পাকা কলা এড়িয়ে চলা উচিত। কিছু কলায় চিনির মাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি থাকতে পারে। আবার পাকানোর বাণিজ্যিক প্রক্রিয়া কলার কিছু খনিজ ও ভিটামিন নষ্ট করে। কাজেই সব সময় এসব কলা যে উপকারই করবে তেমনটি নয়।
কাঁচা কলার ভালো-মন্দ এ কলায়ও উপকার আছে। আবার আছে ক্ষতিকর দিক। তবে এমন কিছু গুণের সন্ধান মেলে, যা বেশ চমকপ্রদ। কাঁচা কলারও কিছু দোষ-গুণ আছে।
উপকার: স্টার্চ হজম হতে বেশ সময় লেগে যায়। কাজেই এ খাবার একবার পেটে গেলে অনেকক্ষণ খিদে লাগে না। এতে বারবার খাওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। তাই ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। আবার স্টার্চ বিপাকক্রিয়াকে প্রভাবিত করে। এতে দেহের ফ্যাট কমে। দেহে ক্যালরি পোড়ানোর কার্যক্রমকে সুষ্ঠু রাখে।
অপকার: কাঁচা কলা খেতে মোটেও ভালো লাগে না। এটা মুখে দিলে মুখ কষটে হয়ে যায়। কাঁচা কলার কিছু উপাদান দেহে প্রয়োজনীয় পাচক রসের সুষ্ঠু উৎপাদন ব্যাহত করে। এর জটিল কার্বোহাইড্রেট দেহ সহজে হজম করতে পারে না। আবার কাঁচা অবস্থায় খাওয়া মানে পাকা কলার বেশ কিছু খনিজ ও ভিটামিন থেকে বঞ্চিত হওয়া।
পাকা বনাম কাঁচা কলা তাহলে কোনটি খাবেন? এখানে আসলে খুব সহজে কোনো একটিকে বেছে নেওয়া কঠিন বিষয়। আপনি কোন স্বাস্থ্যগুণ পেতে চাইছেন তার ওপর নির্ভর করবে কোন ফলটা বেছে নেবেন। তবে ডায়াবেটিসের রোগীরা নিশ্চিন্তে কাঁচা কলা বেছে নিতে পারে।