নিজস্ব প্রতিবেদক : জেল হত্যা দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ জেলা শাখার আয়োজনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বিকালে জেলা শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়নতে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল ইসলাম রেজার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মুনসুর আহমেদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ আবু আহমেদ, শেখ সাহিদ উদ্দিন সাহিদ, ফিরোজ কামাল শুভ্র, সাংগঠনিক সম্পাদক ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান বাবু, দপ্তর সম্পাদক হারুন উর রশিদ, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক এড. আজহার হোসেন, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য জে এম ফাত্তাহ। এসময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামীলীগনেতা মন্ময় মনির, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মীর মোস্তাক আলী, দপ্তর সম্পাদক খন্দকার আনিসুর রহমান, সাবেক ছাত্রনেতা সমন্বয় কমিটির যুগ্ম আহবায়ক কাজী আক্তার হোসেন, সদস্য সৈয়দ মহিউদ্দীন হাশেমী তপু, নূরে আলম সিদ্দিক, সাবেক জেলা ছাত্রলীগ নেতা জি এম ওয়াহেদ পারভেজ, সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহিনুর আলম সাদ্দাম, সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বি শাওন, সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ সভাপতি কাজী শাহেদ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম, সিটি কলেজ সভাপতি মঈদুল ইসলাম, আলিফ খান, ফাহিম মৃনাল, দিপ প্রমুখ। সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাদিকুর রহমান সাদিক। সভায় বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে এক রক্তক্ষরা দিন ৩ নভেম্বর জেলহত্যা দিবস। বাঙালী জাতির ইতিহাসে আরেক কলঙ্কিত দিবস। বাঙালি জাতিকে নেতৃত্বশূন্য করতে ৪০ বছর আগে ১৯৭৫ সালের নভম্বর মধ্যরাতে ঢাকা কেন্দ্রিয় কারাগারে অভ্যন্তরীণ জাতির চার মহান সন্তান, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম পরিচালক, মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর একনিষ্ঠ ঘনিষ্ঠ সহচর, জাতীয় চার নেতা বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমেদ, মন্ত্রিসভার সদস্য ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী, এবং এ এইচ এম কামরুজ্জামানকে ব্রাশ ফায়ার করে নির্মম নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। সেদিনের পর থেকে হত্যা কান্ডের স্মৃতি স্মরণার্থে দিনটি জেলা হত্যা দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। চারনেতা হত্যা কান্ডের সাথে জড়িতদের দেশে ফিরিয়ে এনে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের অনুরোধ জানান বক্তারা।