দেশের খবর: আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৪ দলীয় জোট নেতাদের বলেছেন, নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার মতো প্রার্থী থাকলে তালিকা দেন, মনোনয়ন দেব। রোববার রাতে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে ১৪ দলীয় জোটের সঙ্গে আওয়ামী লীগের সংলাপে তিনি এসব কথা বলেন। সভায় উপস্থিত একাধিক নেতা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। নেতারা জানান, আগামী নির্বাচন জোটগতভাবে হবে কী-না জানতে চান জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু। জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমরা জোটগতভাবেই নির্বাচন করবো। ১৪ দলীয় জোট আদর্শিক, এ জোট থাকবে। তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির বিজয় অর্জন করতে হবে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষার জন্য। এ সময় একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মহাজোট করারও ইঙ্গিত দিয়েছেন শেখ হাসিনা। জোট নেতারা জানান, নির্বাচনে মহাজোট গঠন করা হলে সেই জোটে কারা থাকবেন তা নিয়ে সরাসরি কিছু না বললেও মহাজোট করে নির্বাচনে অংশ নেয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন জোট নেতা। সভায় উপস্থিত জোট নেতাদের উদ্দেশ্যে শেখ হাসিনা বলেন, নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার মতো আপনাদের কোনো প্রার্থী থাকলে সেই তালিকা দেন। আমরা মনোনয়ন দেব। কিন্তু সিট ভাগাভাগির জন্য প্রার্থী তালিকা দিলে হবে না। ১৯৯১ সালের নির্বাচনের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ওই নির্বাচনে জোটকে আসন দেয়া হয়েছিল, কিন্তু কিছু কিছু আসনে জামানতও বাজেয়াপ্ত হয়েছিল। এ সময় আওয়ামী লীগের প্রার্থীর সঙ্গে জোটের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করার দাবি জানান জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু। তবে এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী কোন উত্তর দেননি বলে জানা গেছ।
সভায় উপস্থিত এক নেতা জানান, জোটের শরিক দলগুলোকে কোন কোন আসন দেয়া হবে এ বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। তবে চলমান সংলাপ প্রক্রিয়া শেষে এ সংক্রান্ত আলোচনা হতে পারে। জোট নেতারা সভায় ঐক্যফ্রন্ট প্রসঙ্গে আলোচনা করেন। সংলাপে সাড়া দেয়ায় প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা করে জোট নেতারা বলেন, এ জোটের নেপথ্যে বিএনপি। তারা কামাল হোসেন, আ স ম আবদুর রবদের সামনে রেখে দেশে ষড়যন্ত্র করছে। দেশে অস্থিরতা সৃষ্টি করে অসাংবিধানিক পরিবেশ তৈরি করতে চায়।
ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে আলোচনায় সংবিধানের ভেতরে থেকেই সমাধান দেয়ার পরামর্শ দেন জোট নেতারা। নেতাদের এমন বক্তব্যের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ষড়যন্ত্র থেমে নেই, এটা চলবে। সব ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে আমরা সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা রক্ষা করবো।
১৪ দলীয় জোট নেতাদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু, বাংলাদেশ জাসদের সভাপতি শরীফ নুরুল আম্বিয়া, কার্যকরী সভাপতি মঈনুদ্দিন খান বাদল, ন্যাপের আমিনা আহমেদ, গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন, তরকিত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারি।