স্বাস্থ্য কণিকা: গ্রীষ্মের খরতাপ গরম ইতোমধ্যে এসে গেছে। এই গরমে একটু স্বস্তি পেতে মানুষ শীতলতার পরশ খোঁজে। এক গ্লাস ঠান্ডা লাচ্ছি তৃষ্ণা মেটানোর পাশাপাশি শরীরকে করে তুলবে সতেজ। দই, চিনি, ক্রিম ও এক চিলতে বরফের সঙ্গে বিভিন্ন ফলের ফ্লেভার মেশানো হয়। গোলাপের সিরাপ, আম ও কেশরের ফ্লেভার ভিন্ন ভিন্ন স্বাদ এনে দেয়। নিয়মিত লাচ্ছি খেলে শরীরের প্রোটিনের ঘাটতি কমাবে, সুস্থ হাড় গঠনে সহায়ক হবে। এছাড়াও পরিত্রাণ পাবে বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যা থেকে।
হজমে সহায়ক: লাচ্ছি তৈরিতে টকদই ব্যবহৃত হয়। এটা হজম প্রক্রিয়ায় বেশ উপকারী। এতে ল্যাকটোবাসিলি নামে এক ধরনের ব্যাকটেরিয়া থাকে। যা অন্ত্রকে মসৃণ করে তোলে এবং দ্রুত খাদ্য হজমে সহায়তা করে।
পেটের সমস্যা প্রতিরোধ করে: লাচ্ছি পাকস্থলির স্বাস্থ্যপোযোগী করে তৈরি করা হয়। এটি কোষ্ঠকাঠিন্য এবং পেটের অন্যান্য সমস্যা প্রতিরোধে সহায়ক।
প্রোবায়োটিকের ভালো উৎস: লাচ্ছি খেলে শরীরে স্বাস্থ্যকর ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি করে এবং ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে। এতে থাকা প্রোবায়োটিক উপাদান শরীর থেকে ক্ষতিকর কোলেস্টোরেল কমিয়ে দেয়।
হাড় সুস্থ রাখে: লাচ্ছিতে থাকা উচ্চ সমৃদ্ধ ক্যালসিয়াম দেহের হাড়কে মজবুত করে তোলে। এটি দেহের হাড় ও দাঁতের স্বাস্থ্যকে ঠিক রাখে।
রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: দৈনন্দিন ডায়েট তালিকায় লাচ্ছি রাখতে পারেন। এটি শরীরে রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এতে রয়েছে ল্যাকটিক অ্যাসিড এবং ভিটামিন ডি, যা রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা সিস্টেমের উন্নতি ঘটায়। এটি শরীরের বিভিন্ন ধরনের রোগকে প্রতিহত করে।