স্বাস্থ্য

মিষ্টি কুমড়ার স্বাস্থ্য গুণ

By daily satkhira

November 06, 2018

স্বাস্থ্য কণিকা: সবজি হিসেবে মিষ্টি কুমড়া খুব স্বাদের হলেও অনেকেই এটি পছন্দ করেন না। অনেকে রান্না করতে পারেন না। আবার অনেকে এমনিতেই মিষ্টি কুমড়া খেতে পছন্দ করেন না। যারা এমনি এমনিই মিষ্টি কুমড়া খেতে পছন্দ করেন না তাদের জন্য আছে খারাপ সংবাদ। কারণ যারা মিষ্টি কুমড়া খান না তারা বঞ্চিত হন হনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা থেকে। কীভাবে? মিষ্টি কুমড়ায় ভিটামিন এ, বি-কমপ্লেক্স, সি এবং ই, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, আয়রন, জিঙ্ক, ফসফরাস, কপার, ক্যারটিনয়েড এবং অন্যান্য অ্যান্টিঅক্সিডেন্টসমূহের ধারক। এছাড়াও বিটা-ক্যারোটিন সমৃদ্ধ এই সবজিটি আমাদের দেহের ক্যান্সার প্রতিরোধক কোষ গঠন করে। এবার বুঝতে পেরেছেন কেনো সংবাদ খারাপ? আসুন আজ আমরা জানি মিষ্টি কুমড়া আমাদের দেহে আর কি কি উপকার করে থাকে।

গর্ভস্থ সন্তানের জন্য: কুমড়া ও কুমড়ার বীজ গর্ভবতী মায়েরা তাদের অনাগত সন্তানের সুস্বাস্থ্যর জন্য নির্দ্বিধায় খেতে পারেন। কুমড়া গর্ভবতী মায়েদের রক্তস্বল্পতা রোধ করে অকাল প্রসবের সম্ভাবনা কমিয়ে দেয়।

উচ্চ রক্তচাপ কমাতে: যারা উচ্চ রক্তচাপ জনিত সমস্যায় ভোগেন তারা মিষ্টি কুমড়া খেতে পারেন। মিষ্টি কুমড়ার পটাসিয়াম ও উচ্চ ভিটামিন সি উপাদান উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে আনে।

চোখের যত্নে: এক কাপ পরিমাণ রান্না করা মিষ্টি কুমড়া আমাদের চোখের সুস্বাস্থ্য রক্ষা করতে অন্যান্য খাবার থেকে ১০০ গুণ বেশি কাজ করে। বিটা-ক্যারোটিন ও আলফা-ক্যারোটিন মত ক্যারটিনয়েড সমূহ চোখের ছানি পড়া রোধ সহ চোখের রেটিনা কোষ রক্ষা করে। তাই চোখকে সচল ও সুস্থ রাখতে আপনার খাদ্য তালিকায় মিষ্টি কুমড়া যোগ করুন।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে মিষ্টি কুমড়া একটি অত্যন্ত উপকারি সবজি।কুমড়া ভিটামিন এ, সি এবং ই, ক্যারটিনয়েড, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম এবং অন্যদের মত পুষ্টির একটি ভাণ্ডার। এসব উপাদান আমাদের শরীরকে যেকোন রোগের প্রতিরোধক হিসেবে তৈরি করে। প্রতিদিন মিষ্টি কুমড়া খেলে আপনার শরীরে রোগ ব্যাধির সংক্রমণ কমে যায়।

হজম শক্তি বাড়ায়: মিষ্টি কুমড়ার উচ্চ ফাইবার উপাদান খাদ্য হজমে খুব কার্যকরী ভূমিকা রাখে। ডায়রিয়া নিয়ন্ত্রণ ও পরিপাক নালীর খাদ্য সঠিক উপায়ে সরবরাহে মিষ্টি কুমড়ার তুলনা হয়না। তবে মনে রাখবেন কুমড়া কাঁচা খাওয়ার থেকে পাকা খেলে উপকার বেশি পাওয়া যায়।

ওজন কমাতে সাহায্য করে: কম ক্যালোরি এবং উচ্চ ফাইবারযুক্ত খাবার মিষ্টি কুমড়া ওজন কমাতে একটি উপযুক্ত খাবার। এছাড়া মিষ্টি কুমড়ার উচ্চ পটাসিয়াম কন্টেন্টও খুব সুন্দরভাবে আপনার শরীরের বাড়তি মেদটুকু সযত্নে ঝড়িয়ে দিতে সাহায্য করে। যারা তাদের শরীরের অতিরিক্ত ওজন নিয়ে বিব্রত তারা নিঃসন্দেহে কুমড়া খেতে পারেন।

প্রদাহ হ্রাস: কুমড়া বাতের ব্যথাসহ দীর্ঘস্থায়ী ব্যথার প্রশমন ঘটায়। যারা দীর্ঘদিন ব্যথাজনিত সমস্যায় ভুগছেন তারা প্রতিদিন যদি ১ থেকে ২ কাপ পরিমাণ মিষ্টি কুমড়া রান্না খান তাহলে অনেকটাই ব্যথা কমে আসবে।

আশা করি এবার আপনি আর মিষ্টি কুমড়া আপনার খাবার তালিকা থেকে বাদ দিবেন না। যেখানে এই একটি খাবার আপনাকে এতো উপকারিতা দিচ্ছে।