বিদেশের খবর: আগামী বছর (২০১৯ সাল) ভারতে লোকসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনে মুখ থুবড়ে পড়বে বর্তমান ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)। ভাল ফল করতে পারবে না বিরোধী দল কংগ্রেসও। এমন পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় সরকার গড়বে বিজেপি ও কংগ্রেসের বাইরের জোট। আর সেই সরকারের প্রধানমন্ত্রী হবেন মায়াবতী। উত্তরপ্রদেশের চারবারের মুখ্যমন্ত্রী মায়াবতীই প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য আদর্শ নেত্রী। তাই ২০১৯-এ ভারতবাসী প্রথম দলিত প্রধানমন্ত্রী পাবে।
শুক্রবার এমনই বিস্ফোরক দাবি করলেন ছত্তিশগড়ের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী তথা ছত্তিশগড় জনতা কংগ্রেসের নেতা অজিত যোগী।
তার দল এবার মায়বতীর বহুজন সমাজ পার্টি ও বামেদের সঙ্গে ভোটের লড়াইয়ে নেমেছে। তার দাবি, ছত্তিশগড়ে এবার তাদের জোট সরকারই ক্ষমতায় আসবে। আর মুখ্যমন্ত্রী হবেন তিনি। কারণ, জোট গড়ার সময় তেমনই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, যোগী ছিলেন ওই রাজ্যের প্রথম মুখ্যমন্ত্রী। ২০০০ থেকে ২০০৪ পর্যন্ত তিনিই ছিলেন দায়িত্বে। তার আশা, তিনি এবার সেই পদ ফিরে পাবেন। পার্থক্য একটাই, আগেরবার তিনি কংগ্রেসের টিকিটে জিতে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন। এবার নিজের দলের হয়ে জিতে ওই পদে বসবেন।
ছত্তিশগড়ে যোগী-রাজ শেষ হওয়ার পর রমন-রাজত্ব শুরু হয়েছে।। বিজেপির রমণ সিং সেখানে তিন দফার মুখ্যমন্ত্রী। ফলে এবার তার বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠান বিরোধী হাওয়া রয়েছে। অজিত যোগী মনে করছেন, সেই হাওয়াকে কাজে লাগিয়েই তিনি বাজিমাত করবেন। কিন্তু তার এই আশায় সিঁদুরে মেঘ দেখছে রাহুল গান্ধীর দল। তাদের আশঙ্কা, কংগ্রেস ছেড়ে বেরিয়ে আসা এই ‘বিদ্রোহী’ নেতা ‘নিজের নাক কেটে’ টিম রাহুলের ‘যাত্রাভঙ্গ’ করবেন।
কারণ, মায়াবতী কংগ্রেসের সঙ্গে জোট না করে অজিত যোগীর সঙ্গে হাত মিলিয়েছে। ফলে বিজেপি বিরোধী ভোট ভাগ হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। আর তার জেরেই রমণ সিং চতুর্থবার ক্ষমতায় চলে আসতে পারে বলে কংগ্রেসের আশঙ্কা। পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের মধ্যে ছত্তিশগড়ে প্রথম ভোট। ৯০ আসনের ছত্তিশগড় বিধানসভার ভোট হবে দু’দফায়। চলতি মাসের ১২ ও ২০ তারিখ ভোট নেওয়া হবে। প্রথম দফায় মাও-অধ্যুষিত অঞ্চলের ১৮টি আসনে নির্বাচন। বাকি আসনগুলোতে ভোট শেষ দফায়। ১১ ডিসেম্বর ভোটগণনা। সেদিই বোঝা যাবে অজিত যোগীর দাবি কতটা সত্যি। ছত্তিশগড়ের মানুষ তার পাশে থাকেন, নাকি কংগ্রেস বা বিজেপিকে বেছে নেন। সূত্র: কলকাতা২৪