প্রেস বিজ্ঞপ্তি : সাতক্ষীরার কলারোয়ায় উপজেলার সোনাবাড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি জি এম মিজানুর রহমানের মালিকানাধীন মেসার্স রহমান ব্রিকস নামীয় ইটভাটাটি একই উপজেলার পাঁচপোতা গ্রামের ফয়জুল্লাহ হোসেন ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী অবৈধভাবে গায়ের জোরে দখল করে নিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় জি এম মিজানুর রহমান শনিবার সন্ধ্যায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন। সংবাদ সম্মেলনে উপজেলার রামকৃষ্ণপুর গ্রামের মৃত. করিম বক্স গাজীর ছেলে ও মেসার্স রহমান ব্রিকসের স্বত্বাধিকারী জি এম মিজানুর রহমান তার লিখিত অভিযোগে জানান, আমি বিগত ২০০২ সালে কলারোয়া উপজেলার হেলাতলা ইউনিয়নের দমদম বাজারে কয়েকজন জমির মালিকের কাছ থেকে লীজ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বৈধভাবে মেসার্স রহমান ব্রিকস নামীয় ইটভাটার ব্যবসা পরিচালনা করিয়া আসছিলাম। সম্প্রতি আমার অর্থনৈতিক সংকটের কারণে পাঁচপোতা এলাকার জাকের আলী মোড়লের ছেলে ফয়জুল্লা হোসেনের সাথে ৫০% পার্টনারশীপে ৫ বছরের জন্য গত ০৫/০৪/২০১৮ তারিখে বিজ্ঞ নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে চুক্তি বদ্ধ হই। চুক্তিতে উল্লেখ ছিলো নগদ ৫০ লক্ষ্য টাকা আমাকে দিয়ে পার্টনার হতে হবে। কিন্তু তিনি নগদ মাত্র ৫ লক্ষ টাকা দিয়ে বাকী টাকা পরে দেবেন এই মর্মে আমরা উভয় পক্ষ চুক্তি পত্রে স্বাক্ষর করি। স্বাক্ষরের পরপরই ফয়জুল্লা হোসেন নিজের নামে স্বত্বাধিকারী দিয়ে মেসার্স দমদম ব্রিকস ও মেসার্স রহমান ব্রিকস এর নামে বিভিন্ন ধরনের মেমো তৈরী করে নতুন ইট তৈরি করার জন্য বিভিন্ন ব্যক্তির নিকট থেকে ইট দেওয়ার শর্তে অগ্রিম প্রায় এক কোটি টাকা গ্রহণ করেন। বিভিন্ন মাধ্যমে এ খবর পেয়ে আমি তাকে হিসাব করার জন্য আসতে বললে তিনি বিভিন্ন টালবাহানা করতে থাকেন। একপর্যায়ে কিছু সন্ত্রাসী প্রকৃতির ব্যক্তিদের তিনি মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ভাড়া করে মোবাইলের মাধ্যমে আমাকে হত্যাসহ বিভিন্ন হুমকি-ধামকি প্রদর্শন করতে থাকেন। এরই জের ধরে গত ১৪/১০/২০১৮ তারিখে তার ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী বাহিনীর সহযোগিতায় আমার ভাটার নাম পরিবর্তন করে সেখানে মেসার্স দমদম ব্রিকস প্রোঃ মোঃ ফয়জুল্লা হোসেন লেখেন। এছাড়া আমার জিকজাক ভাটার চিপনীতে খোদায় করে ‘রহমান ব্রিকস, আর বি এফ লেখা ছিল যেটি ওই বাহিনী লোকজন ভেঙে ফেলে মেসার্স দমদম ব্রিকসের নাম লেখেন। বর্তমানে ওই সন্ত্রাসী বাহিনীর সহযোগিতায় ফয়জুল্লা হোসেন ভাটাটি সম্পূর্ণ তার নিজ দখলে রেখেছে। সেখানে আমাকে যেতে দিচ্ছেন না। আমি সেখানে গেলে আমাকে খুন, জখম ও হত্যার হুমকি প্রদর্শন করছেন। এঘটনার পর পরই বিজ্ঞ নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে আমি তার সাথে চুক্তিটি বাতিল করি। তিনি আরো বলেন, এ বিষয়ে আমি বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করলেও এখনো পর্যন্ত কোন দপ্তর থেকে দৃশ্যমান কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। অথচ আমার আয়ের একমাত্র উৎস এই ইটভাটা। দীর্ঘ ১৭ বছর যাবৎ প্রতিষ্ঠানটি সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছিলাম। আমার অর্থনৈতিক দুর্বলতার সুযোগে ফয়জুল্লা সেটি অবৈধভাবে দখল করে রেখেছেন। এভাবে চলতে থাকলে আমি পথে বসার দ্বারপ্রান্তে পৌছে যাবো বলে আশংকা করছি। আমি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি হিসেবে দীর্ঘদিন জাতির জনকের আদর্শ বুকে ধারণ করে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছি। অথচ এই ফয়জুল্লা অবৈধ টাকার প্রভাবে আমাকে জিম্মি করে নিঃস্ব করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। তাই আমি ওই প্রতারক ফয়জুল্লা’র হাত থেকে আমার তিলে তিলে গড়া ইটভাটাটি উদ্ধার এবং আমার জীবনের নিরাপত্তার দাবিতে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি।##