প্রেস বিজ্ঞপ্তি : জেলা প্রশাসক এস.এম মোস্তফা কামাল বলেছেন, সাতক্ষীরাকে মাদক ও সন্ত্রাস মুক্ত করা হবে। কোন শিক্ষার্থী যেন ইভটিজিংয়ের শিকার না হয় সে জন্য শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাকদের সহযোগিতা করতে হবে। কোন শিক্ষার্থী ইভটিজিংয়ের শিকার হলে সে যেন সাথে তার শিক্ষক ও অভিভাবককে বলে। শিক্ষক ও অভিভাবকরা যেন বিষয়টি প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দকে জানায়। শনিবার দুপুরে শহরতলীর বাটকেখালী কারিমা হাইস্কুলে অনুষ্ঠিত আসফিয়া খাতুন চাঁদনির আত্মার শান্তি কামনায় এক দোয়া মাহফিলে অংশ নিয়ে জেলা প্রশাসক এসব কথা বলেন। স্কুলের সভাপতি মোঃ শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা পুলিশ সুপার মোঃ সাজ্জাদুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল মেরিনা আক্তার, সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মোস্তাফিজুর রহমান, জেলা শিক্ষা অফিসার এম এম আব্দুল্লাহ আল মামুন, স্কুলের প্রধান শিক্ষক আবু তাহের, ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থী শরিফুল ইসলাম ও সুমাইয়া খাতুন প্রমুখ। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জেলা পুলিশ সুপার সাজ্জাদুর রহমান বলেন, সাতক্ষীরায় যেন আর কোন চাঁদনি ইভটিজিংয়ের শিকার হয়ে আতœহত্যার পথ বেঁছে না নেয়। সাতক্ষীরাকে ইভটিজিং মুক্ত করতে পুলিশ সদা তৎপর রয়েছে। তিনি আরো বলেন, ইতোমধ্যে পুলিশ মেহেদী হাসান নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে। তবে ঘটনার সাথে জড়িত প্রকৃত দোষীদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনা হবে। পুলিশ তদন্ত করছে। তদন্তে যারা জড়িত প্রমানিত হবে তাদের অবশ্যই বিচারের কাঠ গোড়ায় দাঁড়াতে হবে। নির্দোষ কাউকে হয়রানি করা হবে না। চাঁদনীর আত্মহত্যার প্ররোচনাকারীদের কোন ছাড় দেয়া হবে না। পুলিশ সুপার স্কুলের সকল শিক্ষার্থী ও অভিভাবককে তার ও জেলা প্রশাসকের মোবাইল ফোন নম্বর দিয়ে এ সময় সকলকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান। এসময় জেলা প্রশাসন ও পুলিশের পক্ষ থেকে আসফিয়া খাতুন চাঁদনির মা তফুরা খাতুনের বাড়ি নির্মাণে আর্থিক বরাদ্দ ঘোষণা করে তাকে সান্ত¡না দেন। অনুষ্ঠানে ইভটিজিং রুখে দেওয়ার প্রত্যয়ে শপথ গ্রহণ করা হয়। আলোচনা শেষে আতœহননকারী আসফিয়া খাতুন চাঁদনীর আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া পরিচালনা করেন হাফেজ মাওলানা আবু তালেব। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন, শিক্ষক হক ও রুস্তম আলী। প্রসঙ্গত: গত ২৯ অক্টোবর শহরতলীর বাগানবাড়ি এলাকায় আব্দুল গফফারের মেয়ে কারিমা স্কুলের ছাত্রী আসফিয়া খাতুন চাঁদনীর গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। এ ঘটনায় প্রকৃত দোষীদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।