অনলাইন ডেস্ক: বহুদিন ধরেই এক নারী ভুগছিলেন পিঠের ব্যথায়৷ এরপর তিনি চিকিৎসকের পরামর্শ নেন৷ চিকিৎসক জানান তার অপারেশন করতে হবে৷ অপারেশন করা হয়৷ কিন্তু দেখা যায় তার একটি কিডনি শরীরে নেই৷
মৌরীন পাচেকো নামের সেই নারী অপারেশনের পরে জানতে পারেন তার চিকিৎসক তার কিডনিকে টিউমার ভেবে কেটে ফেলে দিয়েছেন৷ এরপরেই সেই সার্জেনের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেন তিনি৷ ফ্লোরিডা হাসপাতালে হয় ৫১ বছর বয়সী সেই নারীর প্রথম অপারেশন করা হয় ২০১৬ সালে৷ তখন চিকিৎসক মনে করেছিলেন সেটি রোগীর টিউমার৷ যেটি ছিল তার কিডনি৷ সেই পেলভিক কিডনিকেই ক্যানসারাস টিউমার ভেবে ফেলেন সার্জন৷ অ্যাবডোমেনের যেখানে কিডনি থাকার কথা পেলভিক কিডনি সেই স্থানে থাকেনা৷ এ ব্যাপারে চিকিৎসকের কোন কিছু বলার ছিল না৷ তিনি ওই পেলভিক কিডনিটি শরীর থেকে বের করে নেন ২০১৬ সালের এপ্রিলে৷
মৌরীন জানান, “উনি আমার জীবন নিয়ে নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছেন৷ যদি তিনি এমআরআই রিপোর্টটি দেখতেন যেটা তাকে দেওয়া ছিল তাহলে তিনি বুঝতে পারতেন৷ কিন্তু সেটা তিনি দেখেননি৷” পাচেকো আরো জানান, তাকে এখন সারা জীবনের জন্য ভয়ে ভয়ে বাঁচতে হবে৷ সবসময় তার মাথায় কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট আর ডায়ালিসিসের চিন্তা ঘুরতে থাকে৷