দেশের খবর: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আট বিভাগের মধ্যে পাঁচ বিভাগের ৭টি আসনে একক প্রার্থী পাচ্ছে আওয়ামী লীগ। সোমবার মনোনয়ন ফরম বিতরণ ও জমাদান কার্যক্ষম শেষ হওয়ার পর থেকে বুথ সংশ্লিষ্টরা এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত শুক্রবার নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরদিন সকালে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য দুটি মনোনয়ন ফরম সংগ্রহের মধ্যে দিয়ে এ কার্যক্রম শুরু হয়। এর মধ্যে একটি ফরম কেনা হয়েছে শেখ হাসিনার নিজের আসন গোপালগঞ্জ -৩ (টুঙ্গীপাড়া-কোটালীপাড়া) আসনের জন্য। ওবায়দুল কাদের ফরমটি কিনে আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক শেখ আবদুল্লার কাছে হস্তান্তর করেন। শেখ হাসিনার জন্য কেনা অন্য ফরমটি কোন আসনের তা পরে প্রকাশ করা হবে বলে ওবায়দুল কাদের জানান।
২০১৪ সালের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শেখ হাসিনা গোপালগঞ্জ-৩ আসনের পাশাপাশি তার শ্বশুরবাড়ির এলাকা রংপুরের পীরগঞ্জ (রংপুর-৬) আসনে নির্বাচন করে জয়ী হন। পরে তিনি রংপুর-৬ আসনটি ছেড়ে দিলে উপনির্বাচনে ওই আসনের এমপি হন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী।
এবারও শিরীন শারমিন চৌধুরীর জন্য রংপুর-৬ আসনের মনোনয়ন ফরম কিনে চীপ হুইপ আ স ম ফিরোজের কাছে হস্তান্তর করেন ওবায়দুল কাদের। এরপর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের জন্য নোয়াখালী-৫ আসনের একটি মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ। আজ মনোনয়ন ফরম বিক্রি ও জমাদানের শেষদিন পর্যন্ত
যেসব আসনে একক প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন তুলেছেন। সেগুলো হলো, ঢাকা বিভাগে গোপালগঞ্জ-৩ আসনে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা, গোপালগঞ্জ-২ আসনে আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম।
বরিশাল বিভাগে একক প্রার্থী হিসাবে রয়েছেন বরিশাল-১ আসন থেকে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য শেখ হাসনাত আবদুল্লাহ।
খুলনা বিভাগ থেকে বাগেরহাট-১ শেখ হেলাল উদ্দিন, খুলনা-২ আসন থেকে শেখ জুয়েল।
সিলেট বিভাগ থেকে মৌলভীবাজার-১ আসন থেকে শাহাবুদ্দিন।
চট্রগ্রাম বিভাগ থেকে নোয়াখালী-৫ আসন থেকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
রংপুর বিভাগ, রাজশাহী বিভাগ, ময়মনসিংহ বিভাগে কোন আসনে একক প্রার্থীর নামের তালিকা পাওয়া যায়নি।