ডেক্স রিপোর্ট: বিএনপি ঘোষিত ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ হিসেবে রাজধানীতে সমাবেশের অনুমতি না পেয়ে রবিবার সারাদেশে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে বিএনপি। সকালে নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এই কর্মসূচির ডাক দেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণের দিনটিকে বিএনপি পালন করে গণতন্ত্র হত্যা দিবস হিসেবে। আর ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এই দিনটিকে পালন করে গণতন্ত্রের বিজয় দিবস হিসেবে।
তিন বছর আগের এই দিনে বিএনপি-জামায়াতের বর্জন এবং নির্বাচন ঠেকাতে সহিংস কর্মসূচির মাধ্যমে ভোটে জিতে ক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগ। এই দিনে এরপর থেকে দুই দলই নানা কর্মসূচি দেয়।
বিএনপি এবার ৫ জানুয়ারি রাজধানীর বাইরে কালোপতাকা মিছিল এবং ৭ জানুয়ারি রাজধানীতে সমাবেশের ডাক দেয়। কিন্তু বিভিন্ন জেলাতেই কালোপতাকা মিছিলে বাধা ও হামলার ঘটনা ঘটে। আর আজকের সমাবেশের অনুমতি মেলেনি সকাল পর্যন্ত।
বিএনপি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এই সমাবেশ করতে চেয়েছিল। শুক্রবার বিকালে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানান, সোহরাওয়ার্দী না হলে নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করতে চান তারা। আর সেই অনুমতি দিলে তা যেন সন্ধ্যার মধ্যে দেয়া হয়।
কিন্তু সকাল পর্যন্ত সমাবেশের অনুমতি পায়নি বিএনপি। আর দলীয় কার্যালয়ের সামনে মোতায়েন করা হয় বিপুল সংখ্যক পুলিশ। মোতায়েন করা হয় জলকামান আর্মার্ড কার।
কার্যালয়ের ভেতর আগে থেকেই অবস্থান করছিলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। এই পরিস্থিতিতে বেলা সাড়ে ১০টার দিকে সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি।
রিজভী বলেন, ‘গোটা দেশকে পৈত্রিক সম্পত্তি মনে করছে আওয়ামী লীগ। তারা জনগণকে নয়, পুলিশকেই ক্ষমতার উৎস মনে করে তারা।’বিএনপি নেতা বলেন, বিরোধীদলের নেতা-কর্মীদের খুন, গুম, হত্যার মহোৎসব চলছে। বরিশালে পুলিশ-ছাত্রলীগ মিলে মহিলা দলের নেতা-কর্মীদের লাঞ্ছিত করেছে। যা দেশ-বিদেশে সমালোচনার ঝড় তুলেছে।’