খেলার খবর: বলা হয়, যে কোন দলের ভারসাম্য রক্ষা করেন এক জন ভাল অলরাউন্ডার। এই মুহূর্তে সেরা অলরাউন্ডারদের নিয়ে একাদশ তৈরি হলে তাতে কারা জায়গা পাবেন।
সাকিব আল হাসান: বর্তমানে চোটের কারণে দলের বাইরে এই টাইগার তারকা। বাংলাদেশের সর্বকালের অন্যতম সেরা এই ক্রিকেটার তিন ফরম্যাটেই সমান ভাবে অপরিহার্য। ১৯২টি একদিনের ম্যাচ খেলে ফেলেছেন। প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার রান রয়েছে। ঝুলিতে ২৪৪টি একদিনের ম্যাচের উইকেট।
বেন স্টোকস: এই মুহূর্তে বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার। ইংল্যান্ডের গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটার। টি-টোয়েন্টি, একদিনের পাশাপাশি টেস্টেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে দেখা গেছে তাকে। এখন পর্যন্ত ৭৫টি একদিনের ম্যাচ খেলেছেন। ব্যাটিং গড় ৩৬ এর উপর। উইকেট পেয়েছেন ৫৮টি।
রবীন্দ্র জাদেজা: তিন ফরম্যাটের ক্রিকেট খেললেও সীমিত ওভারের ম্যাচে স্বচ্ছন্দ বেশি। এখন পর্যন্ত ১৪৪টি একদিনের ম্যাচ খেলেছেন। ভারতীয় এই অলরাউন্ডার মোট রান করেছেন ১৯৮২। গড় ত্রিশের উপর। উইকেট পেয়েছেন ১৬৯।
হার্দিক পাণ্ডে: আন্তর্জাতিক স্তরে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে অলরাউন্ডারদের নাম বললে হার্দিক পাণ্ডের কথা বলতেই হবে। তবে টেস্টে এখনও তেমনভাবে সফল নন তিনি। খেলেছেন ৪২টি একদিনের ম্যাচ। উইকেট পেয়েছেন চল্লিশটি। ব্যাটিং গড় ত্রিশের কাছাকাছি।
রশিদ খান: বর্তমানে যাদের দিকে নজর সব থেকে বেশি, তাদের মধ্যে রশিদ খান অন্যতম। এই আফগান অলরাউন্ডার নিঃসন্দেহে বড় বিস্ময়। আইসিসি ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়েও রয়েছেন এক নম্বরে। এখনও পর্যন্ত ৫২টি একদিনের ম্যাচে সেরা স্কোর অপরাজিত ৬০। উইকেট পেয়েছেন ১১৮টি।
মিশেল স্যান্টনার: নিউজিল্যান্ডের ক্রিকেটার। একদিনের ম্যাচে গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। এখন পর্যন্ত ৫৩টি একদিনের ম্যাচ খেলেছেন। গড় প্রায় ত্রিশের কাছাকাছি। ৫৯টি উইকেট পেয়েছেন এই বাঁহাতি স্পিনার।
মোহাম্মদ হাফিজ: সীমিত ওভারের ম্যাচে পাকিস্তানের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটার। এখন পর্যন্ত খেলেছেন ২০৩টি একদিনের ম্যাচ। সেরা স্কোর ১৪০। ১৩৭টি উইকেট দখলে রয়েছে স্পিনার হাফিজের।
মইন আলি: ইংল্যান্ডের বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান গুরুত্বপূর্ণ সময় দ্রুত উইকেট তুলে নেওয়ার ক্ষমতা রাখেন। সেরা স্কোর ১২৮। দখল করেছেন ৭৮টি উইকেট।
ক্রিস ওকস: উনত্রিশ বছরের ইংল্যান্ডের এই ক্রিকেটার একদিনের ম্যাচে দলের বড় ভরসা। খেলেছেন ৮০টি ম্যাচ। সেরা স্কোর অপরাজিত ৯৫। ডানহাতি পেসারের দখলে রয়েছে ১১৩টি উইকেট।
জেসন হোল্ডার: ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়ক। সেভাবে টি-টোয়েন্টি ম্যাচ না খেললেও, ৮৫টি একদিনের ম্যাচ খেলে ফেলেছেন। সেরা স্কোর অপরাজিত ৯৯। তাঁর ঝুলিয়ে রয়েছে ১১২টি একদিনের ম্যাচের উইকেট। সেরা বোলিং ২৭ রানে পাঁচ উইকেট।
অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজ: শ্রীলঙ্কার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটার। ২০৩টি একদিনের ম্যাচ খেলেছেন। একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস রয়েছে তাঁর। সেরা স্কোর অপরাজিত ১৩৯। তাঁর দখলে রয়েছে ১১৪টি উইকেট। সেরা ২০ রানে ৬ উইকেট।