দেশের খবর: একাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল পুননির্ধারণ করা হলেও আরো তিন সপ্তাহ পিছিয়ে দেয়ার দাবি জানিয়েছে সরকার বিরোধী নির্বাচনী জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। আজ বুধবার বিকেলে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশনে গিয়ে এই দাবি জানান তারা। এর পরপরই প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমামের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধি দল কমিশনে গিয়ে নির্বাচন পেছানোর বিরোধীতা করেছেন। সিইসির সঙ্গে বৈঠক থেকে বেরিয়ে এইচ টি ইমাম বলেছেন, নির্বাচন এক দিন, এক মুহুর্ত পেছানো যাবে না।
ঐক্যফ্রন্ট ও আওয়ামী লীগের সঙ্গে বৈঠক শেষে ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচন পেছানোর দাবি করেছে। ইসি বলেছে, জানুয়ারিতে নির্বাচন করতে হলে তা ইসির জন্য কষ্টদায়ক হয়ে যাবে। কারণ কোথাও পুননির্বাচন করা প্রয়োজন হতে পারে, গেজেটের বিষয় আছে, বিশ্ব এজতেমার বিষয় আছে। তবু ইসি বলেছে, কমিশন বসে পরীক্ষা-নীরিক্ষা করে এ বিষয়ে পরে জানাবে।
বৈঠকে বলা হয়, ৩০ ডিসেম্বর ভোটের সুবিধাজনক দিন নয়। কারণ এর পাঁচ দিন আগে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ উৎসব বড়দিন। নির্বাচনের একদিন পরই থার্টিফাস্ট ডিসেম্বর এবং তার পরের দিনই ইংরেজি নববর্ষ। জানুয়ারি মাসের তৃতীয় সপ্তাহে নির্বাচন হলে সেটা বিদ্যমান আইন এবং সাংবিধানের সাথে কোনো রকম সাংঘর্ষিক পরিস্থিতি তৈরি করে না। এ ক্ষেত্রে স্কুলগুলোর বার্ষিক পরীক্ষা নির্বিঘ্নে শেষ করা, ঐক্যফ্রন্টের গ্রেপ্তারকৃত নেতাকর্মীরা মুক্ত হয়ে নির্বাচনী কাজে যুক্ত হওয়া, বড় দিনের ছুটি কাটিয়ে দেশের খ্রিস্টান স¤প্রদায়ের নির্বাচনী কর্মকান্ডে অংশ নেয়া এবং বিদেশি পর্যবেক্ষকদের দেশে আসার ক্ষেত্রে সহজ পথ তৈরি হবে।
ইসির সঙ্গে দীর্ঘ দুই ঘণ্টার বৈঠক শেষে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন বলেছেন, সংসদ নির্বাচন পেছানো হবে কি না, বিষয়টি নির্বাচন কমিশন (ইসি) বিবেচনা করে দেখার আশ্বাস দিয়েছে ঐক্যফ্রন্টকে।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন (ইসি) আমাদের নির্বাচনে সাহায্য সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তারা বলেছেন, নির্বাচন অবাধ-সুষ্ঠু হবে। তারা ধৈর্য্য ধরে আমাদের কথা শুনেছেন। আশা করি তারা সহযোগিতা দেবেন।
ড. কামাল বলেন, আমরা সন্তুষ্ট হয়েছি যে, আমাদের প্রশ্নগুলো ওনারা (ইসি) ধৈর্য্য ধরে শুনেছেন এবং উত্তর দেয়ার চেষ্টা করেছেন। আমরা আশা করি যে, বাকী সময়ে নির্বাচন চলাকালীনও একই রকম সহযোগিতা আমরা পাব। বৈঠক শেষে ড. কামাল হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ইসি বলেছে, নির্বাচন পেছানোর দাবি বিবেচনা তারা করবে। তারা সব বিষয়ে নোট নিয়েছে। বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের ঘটনার ব্যাপারে ইসি দুঃখ প্রকাশ করেছে।