জাতীয়

নয়াপল্টনে সংঘর্ষ: ৩ মামলায় গ্রেফতার ৫০

By daily satkhira

November 15, 2018

দেশের খবর: রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় ঘিরে সংঘর্ষের ঘটনায় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ শীর্ষস্থানীয় অনেক নেতাকে অভিযুক্ত করে তিনটি মামলা করা হয়েছে। বুধবার রাতে পল্টন থানায় এসব মামলা করা হয়। পুলিশের ওপর হামলা, গাড়িতে আগুন ও ভাংচুরের ঘটনায় সংশ্নিষ্ট ধারায় এসব মামলা হয়েছে। এসব মামলায় অন্তত ৫০ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পল্টন থানার ওসি মাহমুদুল হক বলেন, মির্জা আব্বাস ও তার স্ত্রী ছাড়া মামলায় আরও অনেককে আসামি করা হয়েছে। সংঘাতে জড়িতদের গ্রেফতারে পুলিশ তৎপর রয়েছে।

পুলিশ কর্মকর্তাদের দাবি, বুধবার বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের হামলা ও ভাংচুরের শুরুতে মূল ভূমিকা পালন করেছেন মির্জা আব্বাস, তার স্ত্রী মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস ও মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সহসভাপতি নবী উল্লাহ নবী। বুধবার মির্জা আব্বাস কয়েক হাজার কর্মী-সমর্থক নিয়ে নয়াপল্টনে জড়ো হওয়ার পরপরই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে থাকে। বিনা উসকানিতে তারা পুলিশের ওপর হামলা চালায়। পুড়িয়ে দেওয়া হয় দুই পুলিশ কর্মকর্তার গাড়ি।

পুলিশ কর্মকর্তাদের ভাষ্য, এ হামলা পূর্বপরিকল্পিত। তা না হলে কীভাবে বিএনপি সমর্থকদের হাতে শত শত লাঠি থাকবে? কেন শত শত নেতাকর্মী হেলমেট পরে সেখানে যাবে? পুলিশের উসকানিতে হামলা হয়েছে- এমন কোনো আলামত ও ফুটেজ কেউ দেখাতে পারবে না বলে দাবি তাদের। তবে বিএনপি নেতারা বলছেন, পুলিশ বিনা উসকানিতে হামলা করেছে। নির্বাচনী পরিবেশকে অশান্ত করতেই এ ঘটনার সূত্রপাত বলে দাবি তাদের।

পুলিশের একাধিক কর্মকর্তা জানান, এরই মধ্যে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ও আশপাশ এলাকার সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করে তা পর্যালোচনা করা হচ্ছে। যারা হেলমেট পরে জ্বালাও-ভাংচুরে নেতৃত্ব দিয়েছেন, তাদের শনাক্ত করছে পুলিশের একাধিক টিম। তবে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী দাবি করেন, ‘পুলিশের গাড়িতে আগুন লাগিয়েছে হেলমেট বাহিনী, যারা ক্ষমতাসীনদের হয়ে কাজ করে।’

এদিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, পুলিশের ওপর হামলা এবং গাড়ি পোড়ানো ছিল পূর্বপরিকল্পিত ও উদ্দেশ্যমূলক। রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে হামলায় আহত পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে দেখা করার পর সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

সেখানে ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, ‘ঘটনার একপর্যায়ে আমি বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে দুবার ফোন করি, তিনি ফোন রিসিভ করেননি। পরে তিনি আমাকে ফোন করেন। তখন আমি বলি, আপনারা উৎসবমুখর পরিবেশে মনোনয়নপত্র বিক্রি করেন, সমস্যা নেই। কিন্তু আমার লোকজনের ওপর কেন হামলা করা হলো? এ ঘটনায় যারা জড়িত, তাদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।’