নিজস্ব প্রতিবেদক: জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলামের ৬৭তম জন্মদিন আজ। তিনি সদর উপজেলার ফিংড়ী ইউনিয়নের উত্তর ফিংড়ী গ্রামে ১৯৫৩ সালের ১৭ নভেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম আব্দুল জব্বার ও মাতার নাম রিজিয়া সুলতানা। তাঁর শৈশব কেটেছে মরিচ্চাপ নদীর পাড়ে ছায়া সু-নিবিড় শান্তির নীড় উত্তর ফিংড়ী গ্রামে। সাতক্ষীরা কলেজে অধ্যয়নকালে তিনি ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে সরাসরি জড়িত ছিলেন। তিনি সাতক্ষীরা কলেজের ছাত্র সংসদের কমনরুম বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করেন। শৈশব থেকে তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের সৈনিক। ১৯৮৪ সাল থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত তিনি আশাশুনি উপজেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ ছিলেন। এরপর ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৭ সাল থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত তিনি সাতক্ষীরা সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। ১৯৯৬ এবং ২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হিসেবে সাতক্ষীরা-২ আসনে নির্বাচন করেন। ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তিনি নৌকা প্রতীকের মনোনীত প্রার্থী ছিলেন। মহাজোটের শরিক জাপা’র প্রার্থীর পক্ষে শেখ হাসিনার নির্দেশে নিজের মনোনয়ন প্রত্যাহার করেন। ১৯৯২ সালে তিনি ফিংড়ী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ছাতা প্রতীক নিয়ে বিপুল ভোটে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। অবহেলিত ফিংড়ী ইউনিয়নকে গড়ে তোলেন তিলোত্তমা রূপে। ২০০৯ সালের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে প্রায় দ্বিগুণ ভোটের ব্যবধানে জামাতের প্রার্থীকে পরাজিত করেন তিনি। সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিজয়ী হবার পর তিনি স্বচ্ছতা ও সততার সাথে দায়িত্ব পালন করেন। সে কারণে তাকে সততার প্রতীক বলা হয়। অবহেলিত সাতক্ষীরা সদর উপজেলার প্রত্যেকটি জনপদকে গড়ে তোলেন উন্নয়নের মডেল হিসেবে। দুর্নীতিমুক্ত সদর উপজেলা পরিষদ গড়ে তুলে তিনি জননন্দিত হয়েছেন। ২০০৪ সালে তিনি সরাসরি কাউন্সিলের মাধ্যমে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ২০০৪ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত তিনি দলের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন লে সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগকে শক্তিশালী সংগঠনে পরিণত করেন। যে কারণে ২০১৫ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি তিনি পুনরায় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ২০১৩ সালে জামাত-শিবিরের নাশকতার বিরুদ্ধে রাজপথে সক্রিয় থেকে তিনি দলকে সুসংগঠিত করেন। ১৯৯৫ সালে ফিংড়ী ইউপি চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে তিনি সততার প্রতীক হিসেবে শ্রেষ্ঠ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে মহামান্য রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের হাত থেকে গ্রহণ করেন রাষ্ট্রপতি পদক। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি দুই কন্যা ও এক পুত্র সন্তানের জনক। তার সহধর্মিনী মিসেস সালেহা ইসলাম শান্তি অবসরপ্রাপ্ত স্বাস্থ্যকর্মী, বর্তমানে গৃহিনী। বড় মেয়ে নূর জাহান জেসমিন বিবাহিত। বড় জামাতা জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে কর্মরত। ছোট মেয়ে আইরিন পারভীন খুলনা রোটারী হাইস্কুলে শিক্ষকতা করেন। ছোট জামাতা-কেডিএ’র সিনিয়র নির্বাহী প্রকৌশলী। একমাত্র ছেলে রাজু আহম্মেদ বর্তমানে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসক হিসেবে কর্মরত। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের সৈনিক হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে একজন কর্মী হিসেবে তিনি বেকারমুক্ত, ক্ষুধামুক্ত, মাদকমুক্ত, আধুনিক উন্নত সাতক্ষীরা গড়তে বদ্ধপরিকর। তার ৬৭তম জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন জেলার রাজনীতিবিদ, শিক্ষক, সাংবাদিক, কবি, সাহিত্যিকসহ সর্বস্তরের মানুষ। এদিকে তার ৬৭তম জন্মদিনে এন.আই (নজরুল ইসলাম) যুব ফাউন্ডেশনের সহযোগীতায় ও ফিংড়ী ইউনিয়ন যুবলীগের আয়োজনে ফিংড়ী ইউনিয়ন পরিষদ হলরুমে কেক কেটে জন্মবার্ষিকী পালন করা হবে। ফিংড়ী ইউপি চেয়ারম্যান সামছুর রহমানের সভাপতিত্বে কেক কাটবেন সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো. নজরুল ইসলাম। এছাড়া জেলা, উপজেলা, পৌর ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, কৃষকলীগ ও স্বেচ্ছাসেবকলীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থাকবেন।