নিজস্ব প্রতিবেদক: কলারোয়া উপজেলার চান্দুড়িয়া সীমান্তের ইছামতি নদী থেকে এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার সকালে স্থানীয়দের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ সীমান্তের ইছামতি নদী থেকে তার লাশ উদ্ধার করে। নিহত গৃহবধূর নাম আমেনা খাতুন (১৮)। সে উপজেলার গোয়ালপাড়া গ্রামের আব্বাস গাজীর মেয়ে ও একই উপজেলার চান্দুড়িয়া গ্রামের ওমর আলীর স্ত্রী। এ ঘটনায় পুলিশ নিহতের শ^াশুড়ি আনোয়ারা বেগমকে আটক করেছে। কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমদাদুল হক শেখ নিহতের বাবা আব্বাস গাজীর উদ্ধৃতি দিয়ে জানান, তিন মাস আগে চান্দুড়িয়া গ্রামের ওমর আলীর সাথে আমেনা খাতুনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর প্রায়ই ওমর আলী তার স্ত্রীকে যৌতুকের দাবীতে মারপিটসহ শারীরিক নির্যাতন করতো। গত তিন দিন আগে আমেনা খাতুন তার শ^শুর বাড়ি থেকে নিঁখোজ হয়। এরপর তার বাবা আব্বাস গাজী তার মেয়ে নিঁখোজের ঘটনায় থানায় একটি জিডি করেন। তিনি আরো জানান, পারিবারিক এই কলহের জেরে গৃহবধূ আমেনা খাতুনকে তার স্বামী ও শ^শুর বাড়ির লোকজন গলায় ফাঁস দিয়ে শ^াস রোধ করে হত্যার পর লাশটি ইছামতি নদীতে ভাসিয়ে দিয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে। পুলিশ নিহতের শ^াশুড়ি আনোয়ারা বেগমকে তার বাড়ি থেকে আটক করেছে। নিহতের লাশ ময়না তদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে তিনি জানান।