অনলাইন ডেস্ক: স্লিম ও সুন্দর আর সুস্থ থেকে ওজন কমাতে যে ফলের জুড়ি নেই, সেটা হচ্ছে রসালো এবং ভিটামিন ‘সি’-তে ভরপুর ‘কমলা’৷ কমলা প্রায় সকলেরই প্রিয়৷ এবার একটু অন্যভাবে কমলার গুণের কথা জানা যাক, যা ওজন কমাতে বিশেষ ভূমিকা রাখে৷
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং সুইডেনে মোট ১৮০০০ নারীকে নিয়ে করা দীর্ঘমেয়াদী এক গবেষণা থেকে জানা গেছে, যারা নিয়মিত কমলা খেয়েছেন, তাদের প্রায় কারোই অতিরিক্ত ওজনের সমস্যা নেই, অর্থাৎ তারা অতিরিক্ত মোটা হননি৷ দিনে মাত্র তিনটি কমলা শরীরের প্রয়োজনীয় পুষ্টি পূরণ করতে পারে৷
শুধু জুস নয়, আঁশসহ কমলার জুস খাওয়াটা বেশ সহজ হলেও কিন্তু স্লিম হওয়া বা ওজন কমানোর ক্ষেত্রে কিন্তু খোসা ছাড়িয়ে কমলা খাওয়ার এফেক্ট অনেক বেশি৷ ২০০ গ্রাম কমলায় আঁশ বা ফাইবার ২০০ গ্রাম জুসের চেয়ে অনেক বেশি থাকে৷ তাই সম্ভব হলে জুসের চেয়ে কমলা খোসা ছাড়িয়ে খাওয়াই শ্রেয়৷ এতে কমলার স্বাদও লেগে থাকে মুখে অনেকক্ষণ৷
কমলার খোসা অতটা পরিস্কার করে ছাড়াবেন না৷ কারণ, খোসার নীচের সাদা অংশেই থাকে প্রচুর পরিমাণে পেকটিন, যা অন্ত্রের বিষাক্ত জীবাণু বাইরে বের হতে বিশেষভাবে সাহায্য করে৷
কমলায় থাকা প্রাকৃতিক, মিষ্টি কিন্তু চকলেট বা অন্যান্য মিষ্টি খাওয়ার ইচ্ছাকে দমন করে৷ কাজেই এতেও অনেকটা ক্যালোরি কম খাওয়া হয়৷
দুপুরে খাওয়ার ১৫ মিনিট আগে কমলা খাবেন৷ এতে আসল খাবার থেকে কম করে হলেও ৩০০ গ্রাম ক্যালোরি কম খাওয়া হবে৷
খাওয়ার আগে যারা নাকের মাধ্যমে কমলা বা লেবুর সুগন্ধ নিয়েছেন, তারা খাওয়ার আগে মেন্যু থেকে হালকা ধরনের খাবারই বেশি পছন্দ করেছেন৷ এক সমীক্ষা থেকে পাওয়া, এই তথ্যটি জানিয়েছেন ফরাসি গবেষকরা৷
একই নিয়মে, অর্থাৎ ক্যান্টিনে যাওয়ার ঠিক পনেরো মিনিট আগেই কমলা খেয়ে নেবেন৷ সম্ভব হলে ক্যান্টিনের চর্বিযুক্ত খাবারের পরিবর্তে সেদ্ধ আলু ও ব্রোকলির সাথে খানিকটা মাখন মিশিয়ে নিন৷ এতে পেট এবং মন দুটোই ভরবে৷
সারাদিন পান করার জন্য প্রতি গ্লাস পানিতেই খানিকটা কমলার রস মিশিয়ে নেবেন৷ এতে যেমন পানির স্বাদ বাড়বে, তেমনি ওজনও কমবে৷ সূত্র: ডয়চে ভেলে।