নিজস্ব প্রতিবেদক: সাংবাদিক জুলফিকারের উপর হামলাকারী চেয়ারম্যান মোশাররফ ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবিতে কদমতলায় মানববন্ধন এবং প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সমাবেশে বক্তারা বলেন, সাংবাদিকদের উপর কোন প্রকার নির্যাতন সহ্য করা হবে না। মফস্বলে বাগ্রামে সাংবাদিকতা করে বলেই কাউকে দুর্বল ভেবে অত্যাচার করলে সেই অত্যাচারীর বিষ দাঁত ভেঙে দেয়া হবে। বুধবার বিকাল সাড়ে ৪টায় মফস্বল সাংবাদিক ঐক্য পরিষদের ব্যানারে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন, কদমতলা রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি আব্দুল মান্নান। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, সাতক্ষীরা জেলা রিপোর্টার্স ইউনিটি’র সদস্য সচিব হাফিজুর রহমান মাসুম, সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক ও একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি’র সাতক্ষীরা সদর উপজেলা সভাপতি শেখ হারুন উর রশিদ, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য কাজী জামাল উদ্দিন মামুন, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এবং আজকের সাতক্ষীরা বিশেষ প্রতিনিধি হাসান হাদী, দৈনিক আজকের সাতক্ষীরার বিশেষ প্রতিনিধি ও শেখ শরিফুল ইসলাম, বার্তা সম্পাদক এম. বেলাল হোসাইন, ব্রহ্মরাজপুর রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি এস এম রবিউল ইসলাম, প্রভাষক শওকাত আলী বাবু, দৈনিক আজকের সাতক্ষীরার নিজস্ব প্রতিবেদক আবুল হোসাইন প্রমুখ। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সীমান্ত রিপোর্টার্স ক্লাবের জাহিদ হোসেন। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, একজন সাংবাদিককে মারপিট করে অনিয়ম দুর্নীতি বন্ধ করা যাবে না। সাংবাদিকদের নির্যাতন করে আজ পর্যন্ত কেউ রক্ষা পায়নি। বাঁশদহা ইউপি চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন মনে করছেন তার অনিয়ম দুর্নীতির সংবাদ যে প্রকাশ করবে তাকে মারপিট করা হবে। কিন্তু এটা হতে পারে না। আমরা থাকতে সেটা হতে পারে না। এসময় বক্তারা আরো বলেন, আজকে যারা ওই সন্ত্রাসী চেয়ারম্যানের কাছ থেকে অর্থ নিয়ে তার বিরুদ্ধে অবস্থান নিচ্ছেন তারা ভুলে যাবেন না- এদিন আপনাদেরও আসতে পারে। কারণ সন্ত্রাসীরা কখনো কারো বন্ধু হতে পারে না। আজকে ওই মোশাররফ চেয়ারম্যানের মত দুর্নীতিবাজরা বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে, শেখ হাসিনার অভাবনীয় উন্নয়ন কর্মকা-কে তার মত চেয়ারম্যান মলিন করে দেবে এটা হতে পারে না। অবিলম্বে ওই চেয়ারম্যানকে পরিষদ থেকে বহিস্কার করে এই নগ্ন হামলার বিচার করতে হবে। তাকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জন্য সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন বক্তারা।