জাতীয়

আসছে হংসবলাকা, বিমানে বসেই কথা বলা যাবে ফোনে

By daily satkhira

November 19, 2018

অনলাইন ডেস্ক: চলতি বছরে সেপ্টেম্বরে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বহরে যুক্ত হওয়া অত্যাধুনিক বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার ‌‘আকাশবীণা’র উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আকাশবীণার পর এবার বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের দ্বিতীয় বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজ ‘হংসবলাকা’ ঢাকায় পৌঁছবে আগামী ১ ডিসেম্বর।

ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চারটি ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজের নাম দিয়েছেন আকাশবীণা, হংসবলাকা, গাঙচিল ও রাজহংস। বাকি দুইটি গাঙচিল ও রাজহংস আগামী বছরের সেপ্টেম্বরে আসবে বলে বিমান বাংলাদেশ সূত্র থেকে জানা গেছে।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স সূত্রে জানা যায়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটলে ৩০ নভেম্বর উড়োজাহাজটি বোয়িং কোম্পানি বিমানের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে হস্তান্তর করবেন। একইদিনে দুপুর ১টায় (স্থানীয় সময়) এটি ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করবে।

সূত্র জানায়, বিমানের নিজস্ব বৈমানিকই উড়োজাহাজটি পরিচালনা করে বাংলাদেশে নিয়ে আসবেন। জ্বালানি সাশ্রয়ী এই ড্রিমলাইনারে বসেই যাত্রীরা পাবে ওয়াই-ফাই সুবিধা। এমনকি যাত্রীরা বিশেষ এক ধরনের ফোনসেটের মাধ্যমে আকাশে ভ্রমণের সময়েই ফোনে প্রিয়জনদের সঙ্গে কথা বলতে পারবেন। ফোনে কথা বলা ছাড়াও রিয়েল টাইম লাইভে দেখা যাবে জনপ্রিয় নয়টি টেলিভিশন চ্যানেল। এই বিমানটি চালানোর জন্য ১৪ জন ক্যাপ্টেনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এর বাইরে সহ-বৈমানিক হিসেবে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে আরও ১০ জন ফার্স্ট অফিসারকে।

বিমানটিতে রাতের ফ্লাইটের পরিবেশ হবে নির্জন ও শান্ত। ফ্লাইটের ভেতরের পরিবেশ অনুযায়ী স্বয়ংক্রিয়ভাবে জ্বলবে আলো। সমূদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৪৩ হাজার ফুট ওপর দিয়ে উড়তে সক্ষম দুই ইঞ্জিনবিশিষ্ট এই উড়োজাহাজ বিশ্বের যে প্রান্তে থাকুক না কেন ঢাকায় নিয়ন্ত্রণ কক্ষের সঙ্গে সব সময় এর যোগাযোগ থাকবে। এটি বোয়িং ৭৬৭ উড়োজাহাজের চেয়ে ২০ শতাংশ কম জ্বালানি লাগে। ফলে লাভও বেশি করা সম্ভব হবে। উড়োজাহাজটিতে মোট আসন রয়েছে ২৭১টি। এর মধ্যে বিজনেস ক্লাসের আসন ২৪টি।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের জনসংযোগ বিভাগে মহাব্যবস্থাপক (জিএম) শাকিল মেরাজ বলেন, দ্বিতীয় বোয়িং ড্রিমলাইনার ৭৮৭-৮ উড়োজাহাজ আগামী ১ ডিসেম্বর দেশে এসে পৌঁছাবে। এটি বিমান বহরে যুক্ত হলে এয়ারলাইন্সে উড়োজাহাজের সংখ্যা পৌঁছবে ১৬টিতে। দেশে আসার পর কাস্টমস ক্লিয়ারেন্স, উড়োজাহাজের রেজিষ্ট্রেশনসহ কিছু প্রক্রিয়া শেষ করতে ৫ থেকে ৭ দিন সময় লাগে যাবে। এসব প্রক্রিয়া শেষে হংসবলাকা বাণিজ্যিক ফ্লাইট চলাচলের জন্য উপযুক্ত হবে।

বিমান সূত্রে জানা গেছে, লন্ডন ও গুয়াংজুসহ বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ রুটে ব্যবহৃত হবে হংসবলাকা। তৃতীয় ও চতুর্থ ড্রিমলাইনার গাঙচিল ও রাজহংস বিমানের বহরে যুক্ত হবে আগামী বছরের সেপ্টেম্বর নাগাদ।