দেশের খবর: ‘বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে’-দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন অভিযোগকে চ্যালেঞ্জ দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেছেন, ‘বিএনপির অধিকাংশ নেতাকর্মী কোনো না কোনো অপরাধে জড়িত। আগুন সন্ত্রাস, বাস পোড়ানো, ভূমি অফিসে আগুন, গাছ কাটা, রাস্তা কাটা এগুলো তাদের কাজ। তারা এগুলোর সঙ্গে জড়িত। এজন্য গ্রেফতার করা হচ্ছে। কোনো নিরপরাধীকে গ্রেফতার করছে না পুলিশ। ’
সোমবার আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের। মির্জা ফখরুলকে চ্যালেঞ্জ দিয়ে তিনি বলেন, ‘যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে আইনের দৃষ্টিতে এরা নিরপরাধী নয়। এরা কি একেবারে ধোয়া তুলসী পাতা? কাদের বিনা অপরাধে গ্রেফতার করা হয়েছে- এটা প্রমাণ করুন। কোনো নিরপরাধ ব্যক্তি এখানে ভিকটিম হবে না।’
দলীয় মনোনয়নের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘ইসিতে মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন ২৭ নভেম্বর। এর আগেই জানিয়ে দেয়া হবে। অফিশিয়ালি জানানোর আগে কেউ মনোনীত প্রার্থী দাবি করতে পারবে না।’
আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত তালিকা মনগড়া বলে দাবি করেন কাদের।
তিনি বলেন, ‘জোটগতভাবেই দলের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হবে। মনোনয়ন নিয়ে পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত তালিকা মনগড়া, এগুলোর বাস্তবসম্মত ভিত্তি নেই।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘দণ্ডপ্রাপ্ত তারেক রহমানের বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীদের ভিডিও কলে সাক্ষাৎকার নেয়া নির্বাচনী বিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। আজকেও একই ঘটনা পুনরাবৃত্তি ঘটেছে। নির্বাচন কমিশনকে আশু ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ জানিয়েছি আমরা।’ তিনি বলেন, ‘হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে কোনো অপরাধী প্রচার প্রচারণায় অংশ নিতে পারবে না। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের দিকে তাকিয়ে আছি।’
এ বিষয়ে উচ্চ আদালতে যাবেন কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘দলগতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে জানানো হবে। নির্বাচন কমিশন থেকে কোনো প্রতিকার না পেলে আমরা জনতার আদালতে বিচার দেব।’ কাদের আরও বলেন, ‘আমরা উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি, ঐক্যফ্রন্টের ব্যানারে একটি দল নির্বাচন বানচালের পাঁয়তারা করছে। সারাদেশে শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের পরিবেশ বিরাজ করছিল। শিডিউল ঘোষণার পর মনোনয়ন প্রদান পর্যায়ে তারা পরিকল্পিতভাবে মনোনয়ন সংগ্রহের নামে সারাদেশ থেকে তাদের নেতাকর্মীর পাশাপাশি সন্ত্রাসীদের জড়ো করে পুলিশের ওপর হামলা করেছে। ২০ জনের মতো পুলিশ আহত হয়ে হাসপাতালে।’
আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, ‘এতদিন যারা পরিবেশ পরিবেশ বলে চিৎকার করছিল, শিডিউল ঘোষণার পর তারাই পরিবেশ নষ্ট করছে।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামীম, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, দফতর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আবদুস সবুর, উপ-দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, কার্যনির্বাহী সদস্য মারুফা আক্তার পপি, উপাধ্যক্ষ রেমন্ড আরেং প্রমুখ।