স্বাস্থ্য

বিটের ১০টি স্বাস্থ্য উপকারিতা

By daily satkhira

November 20, 2018

স্বাস্থ্য কণিকা: যদিও আমাদের দেশে এই সবজিটি খুব একটি পরিচিত বা পছন্দের তালিকায় নেই। তবে প্রাচীনকাল থেকেই বিটের বিশেষ কদর রয়েছে। প্রাচীন গ্রিক ও রোমানরা রোগভোগের হাত থেকে নিস্তার পেতে নিয়ম করে বিট রুট খেতেন। এর নানাবিধ কারণও আছে। ভিটামিন, জিঙ্ক, আয়োডিন, ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ক্লোরিন, সোডিয়ামসহ নানা পরিপোষক পদার্থে ভরপুর হল বিট। ক্লোরিনের হাইপোঅ্যালার্জেনিক ধর্ম গলব্লাডার, কিডনি ও লসিকা পরিষ্কার করে। গুণাগুণ সম্পর্কে না-জানার কারণেই হয়তো সবার কাছে বিটের কদর নেই। উপেক্ষার সবজি হয়ে রয়েছে।

১. রক্তচাপ কমায়: যারা উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভুগছেন, দিনে অন্তত দু-গ্লাস বিটের জুস খান। বিটে থাকা উচ্চ মাত্রার নাইট্রেট রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণ করে।

২. লিভার ডিটক্সিফাই করে: ফাস্টফুড, স্পাইসিতে অভ্যস্ত জীবনে এমনিতেই লিভারের অবস্থা সঙ্গিন। বিটের জুসে থাকা বেটাইন নামে এক উপাদান কিন্তু লিভার ফাংশান ভালো করে। লিভার থেকে টক্সিন বের করে দেয়।

৩. পিরিয়ডের সমস্যা: সময়ের আগেই মেনোপজের লক্ষণ দেখা দিলে বা ঋতুচক্র সংক্রান্ত কোনও সমস্যা হলে বিটের জুস খান। বিটে থাকা আয়রণ নতুন লোহিত রক্তকণিকা গঠনে সাহায্য করে। যার ফলে ঋতুচক্রের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

৪. ক্যানসারের চিকিৎসায়: বিটের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি-টিউমার গুণ। গবেষণায় দেখা গিয়েছে ক্ষতিগ্রস্ত কোষের হাত থেকে সুস্থ কোষগুলোকে বাঁচায়। নতুন কোষ গঠনে সাহায্য করে।

৫. কোষ্ঠকাঠিন্য: যাদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা রয়েছে, উচিত বেশি করে বিটের জুস খাওয়া। বিপাকের সমস্যা দূর করে হজমশক্তি বাড়ায়। পাশাপাশি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও দূর হয়।

৬. রক্তস্বল্পতা ও আয়রন সমস্যায়: বিটে প্রচুর আয়রন থাকে, যা লোহিত রক্তকণিকার জন্য অত্যন্ত জরুরি উপাদান। যে কারণে রক্তস্বল্পতায় যাঁরা ভুগছেন, বা যাঁদের আয়রনের ঘাটতি রয়েছে, এই শীতে বেশি করে বিট খাওয়া উচিত।

৭. ত্বকে জন্য ভালো: বিটের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি-এজিং ফর্মুলা। ফলে, ত্বক থেকে বার্ধক্যের ছাপ দূর করতে নিয়ম করে এই শীতে বিট জুস খান। ত্বকের অন্যান্য সমস্যাও দূর করে। জেল্লাও আসে।

৮. ডিপ্রেশন দূর করে: কোনো কারণে ডিপ্রেশনে ভুগছেন? বিষণ্ণতা আপনাকে গ্রাস করছে? এই শীতে বিট জুসই হতে পারে সেরা প্রাকৃতিক ওষুধ। বিটে ট্রিপ্টোফান ও বিটেইন নামে যে উপাদান থাকে, তা ডিপ্রেশন কাটাতে ভালো কাজ দেয়।

৯. জন্মগত ত্রুটি দূর করে: বিট রুটের মধ্যে রয়েছে ফোলেট ও ফলিক অ্যাসিড। যার কাজ হল জন্মগত ত্রুতি দূর করা। যে কারণে অন্তঃসত্ত্বা নারীদের বিট জুস খাওয়ার পরামর্শ দেন ডাক্তাররা।

১০. রক্তসঞ্চালন স্বাভাবিক করে: বিটে রয়েছে অতিমাত্রায় নাইট্রেটস। মুখে থাকা ব্যক্টেরিয়ার সংস্পর্শে এসে এই নাইট্রেট মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে তোলে।

পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

ডায়াবেটিস, অ্যানিমিয়া, উচ্চরক্তচাপ, থাইরয়েডের মতো নানা অসুখে তাই অত্যন্ত কার্যকরী এই সবজিটি। এর কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে।

১. অক্সালেট একটি যৌগ যা থেকে কিডনি পাথর গঠিত হয়।

২. প্রস্রাবের রং লাল হয়। (এতে ভয় পাওয়ার কিছু নেই)

৩. রক্তচাপের রোগীদের জন্য নিরাপদ নয়।

৪. পেটে ব্যথা হতে পারে।

৫. সুগার লেবেল বাড়িয়ে দিতে পারে।