জাতীয়

জাবি অধ্যাপকের কাণ্ড, ছাত্রীকে ৩০ নম্বরে দিয়েছেন শূন্য

By daily satkhira

November 21, 2018

অনলাইন ডেস্ক: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) গণিত বিভাগের অধ্যাপক জেসমীন আখতার এক ছাত্রীর প্রতি রাগ করে তাকে ‘টিউটোরিয়াল পরীক্ষা ও ক্লাস উপস্থিতিতে শূন্য দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে ভূক্তভোগী ছাত্রী স্নাতক (সম্মান) চতুর্থ বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়েছেন। ভূক্তভোগী ওই ছাত্রীর নাম মুক্তা বিশ্বাস।

বিভাগ সূত্রে জানা যায়, গত ১৪ নভেম্বর বিভাগটির ৪৩তম ব্যাচের (২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষ) স্নাতক (সম্মান) চতুর্থ বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়। কিন্তু প্রকাশিত ফলাফলে মুক্তা বিশ্বাস ‘টিউটোরিয়াল পরীক্ষা ও ক্লাস উপস্থিতির ৩০ নম্বরের মধ্যে শূন্য পেয়েছেন।

জানা যায়, ৪৩ ব্যাচের স্নাতক (সম্মান) চতুর্থ বর্ষে ৮টি কোর্স ছিল। এর মধ্যে ৭টি কোর্সে অনেক শিক্ষার্থী ক্লাসে উপস্থিতিতে (একটি কোর্সে উপস্থিতিতে ১০ নম্বর করে) পূর্ণ নম্বর পেয়েছেন। তবে ফ্লুইড মেকানিক্স কোর্সে শতভাগ উপস্থিতি থাকা সত্বেও কেউই উপস্থিতিতে পূর্ণ নম্বর পাননি। এছাড়া ভালো পরীক্ষা দিয়েও অন্যান্য কোর্সের তুলনায় এই কোর্সটিতে প্রায় সব শিক্ষার্থী টিউটোরিয়ালে কম নম্বর পেয়েছেন। শিক্ষার্থীদের দাবি, কোর্স শিক্ষক অধ্যাপক জেসমীন আখতার ‘ব্যক্তিগত ক্ষোভ’ থেকে সবার নম্বর কমিয়ে দিয়েছেন। এমনকি তিনি এ কারণে মুক্তা বিশ্বাসকে টিউটোরিয়াল পরীক্ষায় ও ক্লাসে উপস্থিতিতে মোট ৩০ নম্বরের মধ্যে শূন্য দিয়েছেন। যে কারণে মুক্তা বিশ্বাস স্নাতক (সম্মান) চতুর্থ বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষায় অন্যান্য কোর্সে কৃতকার্য হলেও এই কোর্সটিতে অকৃতকার্য হয়েছেন।

এদিকে ওই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে বিভাগটির আরও কয়েক ব্যাচের শিক্ষার্থীরাও উপস্থিতির ক্ষেত্রে ও টিউটোরিয়াল পরীক্ষায় ‘ইচ্ছাকৃতভাবে’ নম্বর কমিয়ে দেয়ার অভিযোগ করেছেন। এসব বিষয়ে অধ্যাপক জেসমীন আখতারের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, ‘এটা একটা মিসটেক। আমি ইতিমধ্যে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকে সংশোধনী পাঠিয়ে দিয়েছি। আশা করছি সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।’ নাম্বার কম দেয়ার অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে এর আগে কখন নম্বর কম দেয়ার অভিযোগ শুনি নাই। এই প্রথম এমন অভিযোগ শুনলাম। আমি বরাবরই বেশি নম্বর দিয়ে থাকি।’ মুক্তা বিশ্বাসের ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘সে ক্লাসে অন্যের হয়ে উপস্থিতি দিয়ে দেয়। আমি এ ধরনের অন্যায় সহ্য করতে পারি না। তারপরও তো শিক্ষার্থীরা অন্যের হয়ে উপস্থিতি দিয়ে দেয়।’ তিনি আরো বলেন, ‘পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকে ফলাফল জমা দেয়ার পর মুক্তা আমার সাথে যোগাযোগ করে। তাই এমন ভুল হয়েছে।’