অনলাইন ডেস্ক: পদত্যাগ করেছেন পশ্চিমবঙ্গের দমকল মন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায়। ব্যক্তিগত সম্পর্কের জেরে তাকে পদত্যাগ করতে বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ বুধবার মেয়রের পদ থেকেও ইস্তফা দিতে পারেন তিনি। দীর্ঘদিন ধরেই ব্যক্তিগত সম্পর্কের টানাপোড়েন নিয়ে সংবাদের শিরোনামে রয়েছেন কলকাতার মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে চরম বিরোধও চলছে তার। এই কারণে একাধিকবার দলনেত্রীর ক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছে তাকে। মঙ্গলবার পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় একটি সরকারি আবাসন প্রকল্পে গরিবদের বাড়ি দেওয়া নিয়ে ভুল তথ্য দেন শোভন। সরকারি আবাসন প্রকল্পের কাজ নিয়ে প্রশ্ন করেন বাম বিধায়ক সমর হাজরা। জবাবে শোভন বলেন, ‘‘সামগ্রিক পরিকল্পনা রূপায়ণে রাজ্যে ২৫ লাখ বাড়ি অনুমোদন করে কাজ চলছে।” তার এই জবাবের পরই কয়েক সারি পিছনে বসে থাকা মুখ্যমন্ত্রী মমতা কিছুটা বিরক্তি দেখিয়ে উঠে দাঁড়িয়ে বলেন, ‘‘এই তথ্য ঠিক নয়। ২৫ লাখ বাড়ি তৈরি করা হয়ে গিয়েছে। সরকার অনুমোদন করেছে ৪০ লাখ বাড়ি।” এই ঘটনার সময়ই শাসক শিবিরে চরম অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি হয়। শুধু তাই নয়, প্রথমার্ধের অধিবেশন শেষে শোভন কিছু বলতে মুখ্যমন্ত্রীর আসনের কাছে যান। কিন্তু তাকে হাত দেখিয়ে উঠে যান মমতা। তারপর বের হওয়ার আগে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সামান্য কিছু কথা হয় শোভনের। এরপরই শোভনকে বিধানসভার অধ্যক্ষর ঘরে ডেকে তার কাজ নিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করেন মমতা। কাজ ফেলে মেয়র শাড়ি-চুরির দোকানে ঘুরে বেড়াচ্ছেন বলেও অভিযোগ করা হয়। মমতা শোভনকে জানান, তার কাছে সব খবর আছে। আছে ছবিও। তৃণমূল সূত্রের খবর, এরপরই মমতা তাকে দল বা বৈশাখীর মধ্যে কোনও একটা বেছে নিতে বলেন। কিছুক্ষণের মধ্যে পদত্যাগপত্র জমা দেন শোভন। এ প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, বোঝা যাচ্ছে দলে আমার প্রয়োজন ফুরিয়েছে। আমার উপর নজরদারিও চলছে। এভাবে অপমানিত হয়ে আর কাজ করা যাচ্ছিল না। সূত্র: আনন্দবাজার