আশাশুনি ব্যুরো : আশাশুনি উপজেলার বুধহাটা ইউনিয়নের নৈকাটিতে বসত বাড়ির সীমানা প্রাচীর ভাঙার অভিযোগ পাওয়া গেছে। নৈকাটি গ্রামের মৃত মোসলেমউদ্দীনের স্ত্রী রহিমা বেগম জানায় শনিবার সকাল ৯ টায় বাড়িতে আমি ছাড়া আমার ছেলে মেয়ে কেউ না থাকায় সেই সুযোগে আমার সীমানা প্রাচীর ভেঙে দেয় আমার প্রতিবেশি মৃত রজব মোড়লের ছেলে খালিদ মোড়ল, মৃত ছবেদ মোড়লের ছেলে খোকন মোড়ল, তার ভাই এমদাদুল মোড়ল, মইনুর মোড়ল, জিল্লু মোড়লের স্ত্রী আছমা বেগম, মইনুর মোড়লের স্ত্রী নাছিমা বেগম। দক্ষিনপাড়া জামে মসজিদ সংলগ্ন নৈকাটি মৌজার ৩২৫ দাগে ২৮ শতক জমিতে আমার ছেলে মেয়েকে নিয়ে বসবাস করি। ৯ বছর আগে আমার স্বামী বেঁচে থাকা অবস্থায় উত্তর পাশে এ প্রাচীর দেয়া। পরবর্তীতে দেড় মাস আগে পূর্ব পাশে এক হাত ছেড়ে দিয়ে সীমানা প্রাচীর দেওয়া হয়। প্রাচীর দেওয়ার সময় তারা বাঁধা দেয়। সে সময় আশাশুনি থানার এস আই নয়ন চৌধুরী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে কাজ বন্ধ রাখতে বলেন। সেই সময় থেকে আমরা আর প্রাচীর নির্মানের কাজ করিনাই। এক মাস আগে ইউপি চেয়ারম্যান আমাদেরকে মিমাংশা করার কথা বলেন। তারপর হঠাৎ গতকাল শনিবার গায়ের জোরে প্রকাশ্যে আমাদের প্রাচীর ভেঙে দিয়ে যায় তারা। আমাদের জমির অন্য পাশে আমাদের অন্য শরীকের জমি। কিন্তু তারা গায়ের জোরে আমাদের জমি নিতে চায়। এ বিষয়ে অভিযুক্তদের সাথে কথা বললে তারা জানান তাদের বাড়ি থেকে বের হওয়ার পথ নেই। চেয়ারম্যান প্রকৌশলী আবম মোছাদ্দেকের জানান এক মাস আগে আমি ঘটনাস্থলে যাই। রহিমা বেগমের ছেলে পলাশের সাথে আমি বলে আসি তাদের বাড়ি থেকে বের হওয়ার জন্য একটু জায়গা দেওয়ার জন্য এবং অন্য জায়গা থেকে জমি নেওয়ার কথাও বলে আসি। এব্যাপারে ভুক্তভোগী পরিবার উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।