নিজস্ব প্রতিবেদক: দেবহাটা উপজেলার কুলিয়া ইউনিয়নের হিজলডাঙ্গা গ্রামে এক হিন্দু সম্প্রদায়ের সদস্যর বাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার রাতে উত্তর হিজলডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা রঞ্জন কুলিনের বসতবাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনাসূত্রে জানাগেছে, দীর্ঘদিন ধরে রঞ্জন কুলিন, দুলাল কুলিন, নেত্র কুলিন ও শরৎ কুলিন সরকারি জমিতে ডিসিয়ার নিয়ে বসবাস করে আসছিল। কিন্তু রঞ্জন কুলিনের ভাই নেত্র কুলিন বহুবছর পূর্বে ভারতে চলে যায়। যাওয়ার পূর্বে রঞ্জন কুলিনের কাছ থেকে টাকা নিয়ে দেশ ত্যাগ করে। কিন্তু বহুবছর পরে বর্তমানে নেত্র কুলিন দেশে এসে পূর্বের জমির ভাগ নিতে ভাইকে হুমকি দিতে থাকে। এমন্তবস্থায় রঞ্জন কুলিন গ্রাম পর্যায়ে মিমাংশায় ৫০ হাজার টাকা দিয়ে নিজে করে নেওয়ার প্রস্তাব দেয়। তার প্রস্তাবে নেত্র কুলিন রাজি হয়নি। তিনি প্রাপ্য জমি নিজের নামে নিতে চেয়ে রঞ্জনকে হুমকি দিতে থাকে। শুক্রবার রাতে রঞ্জনের বসতবাড়িতে অগ্নিসংযোগসহ লুটপাট করার ঘটনা ঘটে। এবিষয়ে রঞ্জন কুলিন সাংবাদিকদের জানায়, তার ভাই নেত্র ও দুলালের নের্তৃত্বে স্থানীয় রঞ্জন মন্ডল পুত্র সুকুমার, সদর ঢালীর পুত্র দেবাস, বিরন বিশ্বাস পুত্র অরুন, আরিফ বিল্লাহসহ অজ্ঞত ৮/১০ জন মোটরসাইকেলযোগে তার বাড়িতে দাঁ, লাঠি-সোটা নিয়ে প্রথমে অগ্নিসংযোগ ও ঘরে ঢুকে নগদ ২৮ হাজার টাকা, ৫০ হাজার টাকা সম মূল্যের স্বর্ণলঙ্কার লুট করে নিয়ে যায়। এঘটনায় অভিযুক্ত দুলাল কুলিনের স্ত্রী জানান, তার স্বামী বাড়িতে নেই। মোটরসাইলে যারা এসেছিল তারা আগুন জালায়নি। তার ভাসুর নিজের ঘরে আগুন দেয়। অপরদিকে দুলাল কুলিনের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোন কিছু জানেনা বলে জানান। তাছাড়া তিনি বিকালে আতœীয়র বাড়িতে গেছেন বলেও জানান। কিন্তু তার স্ত্রী ঘটনার পরে তিনি বাড়ি থেকে বের হয়েছেন বলেও জানিয়েছেন। স্থানীয় ইউপি সদস্য ভরত কুমারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি বিষয়টি শোনামাত্র ঘটনাস্থলে এসছি। তাছাড়া এটি ভাই-ভাই পারিবারিক ব্যাপার। উক্ত ঘটনায় দেবহাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মামুন-অর-রশীদ(পিপিএম), সেকেন্ড অফিসার মাসুদুজ্জামান, এএসআই মাজরিহা হোসাইন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। একই সাথে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রঞ্জন কুলিনকে আইনের সহায়তা প্রদান করা হবে বলে আশ্বাস দেন।