আন্তর্জাতিক

মার্চ থেকে সুন্দরবন ও ঢাকা হয়ে আসাম যাবে কলকাতার লঞ্চ

By daily satkhira

November 26, 2018

বিদেশের খবর: দুই বাংলার নদী ও সাগর পথে ভেসে কলকাতা থেকে ঢাকা আসবেন পর্যটকরা। ভারতের ‘ইনল্যান্ড ওয়াটারওয়েজ অথরিটি অফ ইন্ডিয়া’ (আইডবলিউএআই) জানিয়েছে ২০১৯ সালের মার্চ থেকেই শুরু হবে এই নৌবিহার। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়া।

টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদন অনুয়ায়ী, আইডব্লিউএআই-এর এক সদস্য এসভিকে রেড্ডি বলেন, ‘কলকাতা-সুন্দরবন রুট ধরে বাংলাদেশ পৌঁছবে এই নৌবিহার। তার পরে যাবে উত্তর-পূর্ব অংশে। এই নদীপথ ঠিক হয়েছে ভারত-বাংলাদেশের এক দ্বিপাক্ষিক চুক্তির মাধ্যমে।’

এসভিকে রেড্ডি জানিয়েছেন, প্রটোকল রুটের ভারতীয় অংশ হয়ে প্রতিদিনই ১৫ থেকে ২০টি বার্জ চলাচল করে। মূলত তাতে ফ্লাই-অ্যাশ থাকে যা ভারত থেকে বাংলাদেশ নিয়ে যাওয়া হয়। তিনি বলেন ক্রুজ চলাচলেও কোন অসুবিধাই হবে না।

এই পথে ট্যুর পরিচালনা করতে আগ্রহী ভারতীয় নৌবিহার আয়োজনকারী প্রতিষ্ঠান ‘ভিভাদা’। এটির পরিচালক আর সুশিলা জানান, তারা বাংলাদেশে এবং বাংলাদেশ হয়ে উত্তর-পূর্বাঞ্চলে নৌবিহার আয়োজন করতে চান। উত্তর পূর্বাঞ্চলে যেতে ঢাকা হয়ে আরিচা রুটে ঢুকবে লঞ্চ। এরপর ধুবড়ি হয়ে আসাম প্রবেশ করতে পারে।

প্রতিবেদনে বলা হয় চলতি বছরের অক্টোবরে দিল্লিতে সচিব পর্যায়ের বৈঠকে এ নিযে একমত হয় ভারত ও বাংলাদেশ।

কলকাতা থেকে শুরু করে, ঢাকা পৌঁছতে ছ’দিন লাগবে বলে জানা গেছে। এ রুটে মাথা পিছু খরচ পড়বে ৬০ হাজার রুপি। শুধু থাকা-খাওয়াই নয়, ক্রুজে পর্যটকদের মনোরঞ্জনের জন্য থাকবে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন। এ ছাড়া, সুন্দরবন অঞ্চলের নানা জায়গায় থাকবে রাত্রিবাসের সুবিধা। এপার বাংলার সুন্দরবন অঞ্চল পেরিয়ে ওপার বাংলার বরিশাল, চাঁদপুর, নারায়ণগঞ্জ হয়ে ক্রুজ পৌঁছবে ঢাকায়।

আইডবলিউএআই-এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, রাতে ক্রুজ চললে, তার জন্য থাকবে বিশেষ নেভিগেশন সেবা। ভারতের সীমা পর্যন্ত সেদেশের কর্মকর্তারাই তা করবেন। দ্বিপাক্ষিক চুক্তির পরে, বাংলাদেশও রাজি হয়েছে রাতের এই সেবা দিতে।

এই পথে চলাচলের জন্য ভারত ও বাংলাদেশ অংশে ড্রেজিং করা হয়ে। ভারত-বাংলাদেশ প্রটোকল রুট অনুযায়ী ড্রেজিং খরচের ৮০ শতাংশ ভারত সরকার বহন করবে।