জাতীয়

ইয়াবা দিয়ে ফাঁসাতে চেয়েছিল পুলিশ, পরে প্রাণটাও গেল দোকানির

By Daily Satkhira

November 26, 2018

দেশের খবর: টাঙ্গাইলে সদর থানার একজন এসআই-এর বিরুদ্ধে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসাতে গিয়ে ধস্তাধস্তির সময় এক দোকানির মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।

স্থানীয় ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টার সময় আমির হামজা নামে পুলিশের ওই কর্মকর্তার ধস্তাধস্তিতে অসুস্থ হয়ে বাদল মিয়ার মৃত্যু হয়।

রোববার রাতে পৌর শহরের শান্তিকুঞ্জ মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

ঘটনার পর স্থানীয় ব্যবসায়ীরা ওই পুলিশ কর্মকর্তাকে এক ঘণ্টা ধরে আটক করে রাখেন। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে এসআই আমির হামজাকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।

বাদল মিয়ার মৃত্যুর ঘটনায় স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তারা এসআই আমির হামজার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

স্থানীয় ব্যবসায়ী মো. শফিক মিয়া জানান, রাতে পুলিশের এক সোর্স এসে তার দোকানে পাঁচটি সিগারেট চায়। এ সময় তিনি সিগারেট দেয়ার পর ওই প্যাকেটে সোর্স ইয়াবা ট্যাবলেট রেখে দিয়ে বলে আপনি এগুলোর ব্যবসা করেন।এটি বলার সঙ্গে সঙ্গে এসআই আমির হামজাসহ কয়েকজন পুলিশ সদস্য এসে শফিককে জেরা করতে থাকেন।

তিনি জানান, প্যাকেটে আপনাদের সোর্স (পুলিশের) ইয়াবা রেখেছে। আমার দোকানে সিসি টিভি লাগানো আছে, ফুটেজ দেখতে পারেন। এর পরপরই পুলিশ ফুটেজ নিয়ে নেয় এবং শফিককে থানায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।

এ খবর ছড়িয়ে পড়লে আশপাশের ব্যবসায়ীরা তাদের ঘিরে ফেলেন এবং পুলিশের সোর্সকে গণপিটুনি দেয়। এসআই আমির হামজার সঙ্গে দোকানের আরেক মালিক বাদল মিয়ার ধস্তাধস্তি হয়। এ সময় বাদল মিয়া অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে সেখানেই তার মৃত্যু হয়।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে নিরালার মোড়ের এক ব্যবসায়ী জানান, সম্প্রতি এসআই আমির হামজা তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে তাকে জোর করে থানায় নিয়ে যায়। পরে বিভিন্ন মামলার ভয় দেখিয়ে তার কাছ থেকে ৩৪ হাজার ৫০০ টাকা নিয়ে ছেড়ে দেয়।

আরেকজন ব্যবসায়ী জানান, দোকানে রেডবুল নামের ড্রিংস রাখার কারণে তাকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়। পরবর্তী সময়ে দোকান থেকে পাঁচটি রেডবুল ও টাকার বিনিময়ে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়।

এ বিষয়ে টাঙ্গাইল থানার এসআই আমির হামজা বলেন, বিষয়টি বড় না করলে হয় না? আর বাদল মিয়া ধস্তাধস্তির কারণে নয়, তিনি হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা গেছেন।