জাতীয়

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায়ের কপি হাইকোর্টে

By daily satkhira

November 27, 2018

দেশের খবর: ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার বিচারিক আদালতের রায়ের প্রয়োজনীয় নথিসহ হাইকোর্টের ডেথ রেফারেন্স শাখায় এসে পৌঁছেছে। আজ মঙ্গলবার ঢাকার এক নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল থেকে দুপুরের পর এ নথি হাইকোর্টে সংশ্লিষ্ট শাখায় পৌঁছে দেওয়া হয়। মামলার নথিগুলো পৌঁছালে হাইকোর্টের ডেসপাস শাখার প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. ফারুখ সেগুলো গ্রহণ করেন।

সাংবাদিকদের কাছে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন দ্রুতবিচার ট্রাব্যুনাল-১-এর পিএ স্টেনোগ্রাফার অলিউল ইসলাম। এ ছাড়া ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার কপিসহ যাবতীয় নথি হাইকোর্ট বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় গেছে। এর মধ্যে এই ঘটনার হত্যা মামলার রায় ৩৬৯ পাতা এবং বিস্ফোরক আইনের মামলার রায় ৩৫৬ পাতা। আর অন্যান্য নথির মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামি পক্ষের সাক্ষীর জবানবন্দি ও জেরা, তদন্তকারী কর্মকর্তার কাছে দেওয়া সাক্ষীদের জবানবন্দি, যুক্তিতর্ক, আত্মপক্ষ সমর্থনের বক্তব্য, আদালতে দেওয়া আসামিদের স্বীকারোক্তি, ট্রাইব্যুনালে দেওয়া আসামি ও রাষ্ট্রপক্ষের হাজিরা ও দরখাস্ত রয়েছে নথির ভেতরে।

এ রায়ে গত ১০ অক্টোবর সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর ও বিএনপি নেতা আবদুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান (বর্তমানে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান) তারেক রহমানসহ ১৯ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে অপর ১১ আসামিকে।

নিয়ম অনুসারে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ডাদেশ নিশ্চিতকরণ) অনুমোদনের জন্য এ নথি হাইকোর্টে পাঠানো হয়। এদিকে রায়ের বিরুদ্ধে দণ্ডপ্রাপ্তরা আপিল করতে পারবেন। পরে ডেথ রেফারেন্সসহ আসামিদের আপিল শুনানি এক সঙ্গে শুরু হতে পারে।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ১৯ আসামি হলেন- সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, মেজর জেনারেল (অব.) রেজ্জাকুল হায়দার চৌধুরী, ব্রিগেডিয়ার (অব.) আবদুর রহিম, আবদুস সালাম পিন্টু, মাওলানা মো. তাজউদ্দীন, মাওলানা শেখ আবদুস সালাম, মো. আবদুল মাজেদ ভাট ওরফে মো. ইউসুফ ভাট, আবদুল মালেক ওরফে গোলাম মোহাম্মদ, মাওলানা শওকত ওসমান, মহিবুল্লাহ ওরফে মফিজুর রহমান, মাওলানা আবু সাঈদ, আবুল কালাম আজাদ ওরফে বুলবুল, জাহাঙ্গীর আলম, হাফেজ মাওলানা আবু তাহের, হোসাইন আহমেদ তামিম, মঈন উদ্দিন শেখ, রফিকুল ইসলাম, উজ্জ্বল ওরফে রতন ও হানিফ।

যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- শাহাদাৎ উল্লাহ ওরফে জুয়েল, মাওলানা আবদুর রউফ ওরফের আবু ওমর আবু হোমাইরা ওরফে পীরসাহেব, মাওলানা সাব্বির আহমদ ওরফে আবদুল হান্নান সাব্বির, আরিফ হাসান ওরফে সুজন ওরফে আবদুর রাজ্জাক, হাফেজ মাওলানা ইয়াহিয়া, আবু বকর ওরফে হাফে সেলিম হাওলাদার, মো. আরিফুল ইসলাম ওরফে আরিফ, মহিবুল মোত্তাকিন ওরফে মুত্তাকিন (পলাতক), আনিসুল মুরছালিন ওরফে মুরছালিন (পলাতক), মো. খলিল (পলাতক), জাহাঙ্গীর আলম বদর ওরফে ওস্তাদ জাহাঙ্গীর (পলাতক), মো. ইকবাল (পলাতক), লিটন ওরফে মাওলানা লিটন (পলাতক), তারেক রহমান ওরফে তারেক জিয়া (পলাতক), হারিছ চৌধুরী (পলাতক), কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ (পলাতক), মুফতি শফিকুর রহমান (পলাতক), মুফতি আবদুল হাই (পলাতক) এবং রাতুল আহম্মেদ বাবু ওরফে বাবু ওরফে রাতুল বাবু (পলাতক)।