সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাতক্ষীরা সদর-২ সংসদীয় আসনে ইভিএম ব্যবহারকে কেন্দ্র করে ভোটারদের মাঝে দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। এমনকি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও প্রার্থীদের মাঝেও নতুন এই প্রযুক্তি নিয়ে রয়েছে যথেষ্ট কৌতুহল।
সাধারন ভোটাররা জানান, অল্পসময়ের মধ্যে নির্বাচনী কর্মকর্তাদের উপযুক্ত প্রশিক্ষন ও সাধারণ ভোটারদের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করতে পারলেই নতুন এই প্রযুক্তি টেকসই হতে পারে, আর তা নাহলে এ প্রকল্প মুখ থুবড়ে পড়ার আশাংকা রয়েছে।
ভারত সীমান্ত ঘেষা সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ১৪টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত সাতক্ষীরা-২ আসন। এই আসনে ৩ লাখ ৫৬ হাজার ২৬৯ জন ভোটার রয়েছে। যার মধ্যে ১ লাখ ৭৮ হাজার ৯৭৮ জন পুরুষ ভোটার ও ১লাখ ৭৭ হাজার ২৯৮ জন নারী ভোটার রয়েছে। এই আসনে ভোট কেন্দ্র রয়েছে ১৩৭ টি। বুথের সংখ্যা ৬৯৮টি। সংশ্লিষ্ট রিটানিং অফিসার জানিয়েছেন, নির্বাচন কমিশনারের নির্দেশনা পেলে ইভিএম ব্যবহারে বাস্তবমূখী পদক্ষেপ নেয়া হবে। নির্বাচনী কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষন ও ভোটারদের মাঝে সচেতনতামুলক বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে।
জেলা নির্বাচন অফিস সুত্রে জানা গেছে, এই প্রযুক্তি নির্বাচনে ব্যবহারের মাধ্যমে ১০টি সুবিধা পাওয়া যাবে। এর মধ্যে ভোটগ্রহণের আগে মেশিন চালু না হওয়া ও মেশিন ছিনতাই হলেও অবৈধ ভোটদান বন্ধ, পাসওর্য়াড সুরক্ষিত থাকায় অনুমোদিত ব্যক্তির বাইরে মেশিন চালু করা সম্ভব নয়। ভোট শুরুর আগে-পরে শূন্য ভোটিং ও প্রিন্টিং করার সুবিধা। স্বয়ংক্রীয়ভাবে ফলাফল প্রিন্ট, ঘোষণা ও বিতরণ করার ব্যবস্থা। ভোট সম্পন্ন হওয়ার পর ভোটারের সন্তুষ্টির জন্য ধন্যবাদ শব্দ যুক্ত করা হয়েছে এই ইভিএমে।
সাতক্ষীরা সদর-২ আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী ও সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবি বলেন, এই প্রযুক্তি নতুন। তবে সামরিক বাহিনীর সদস্যরা নির্বাচনী কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা করবে। জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারনে এই পদ্ধতির মাধ্যমে অতি অল্প সময়ের মধ্যে ভোটাররা তাদের ভোচাধিকার প্রয়োগ করতে পারেবে। জেলা গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক ও দলীয় প্রার্থী আলীনুর খান বাবুল বলেন, ডিজিটাল কারচুপির জন্য সরকার ইভিএম ব্যবহার করতে চাচ্ছে। অন্যান্য দল না চাইলেও ভোট কারচুপির জন্য ইভিএম পদ্ধতি ব্যবহার করা হচ্ছে। সাতক্ষীরা জেলা রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামাল বলেন, ইভিএম নিয়ে ভোটারদের মাঝে নানা কৌতুহল রয়েছে। এই প্রযুক্তি যদি যথাযথভাবে প্রয়োগ করতে পারি তাহলে ভোটাররা ইভিএমে আকৃষ্ট হবেন বলে তিনি মনে করেন। তিনি আরো বলেন, আমরা যে উন্নত বিশ্বের স্বপ্ন দেখি তা একদিন বাস্তবায়িত হবে।