বিনোদনের খবর: সুবর্ণা মোস্তফা প্রথমবারের মতো পোশাকের মডেল হলেন। বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ার ঝলমলে। রয়েছে অজস্র প্রাপ্তির পালক, ছোট পর্দায় অভিনয় গুণে একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করেছিলেন, চলচ্চিত্রে অভিনয় করে সমালোচকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। টেলিভিশন বিজ্ঞাপন থেকে নাটক, চলচ্চিত্র সবখানেই তার সমুজ্জ্বল উপস্থিতি। কিন্তু এই দীর্ঘ ক্যারিয়ারে কখনওই পোশাকের মডেল হননি।
সম্প্রতি ফ্যাশন হাউজ বিশ্ব রঙের পোশাকের মডেল হয়েছেন বাংলাদেশের এই গুণী অভিনেত্রী। ফ্যাশন হাউজটি বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে নতুন ডিজাইনের বেশ কিছু পোশাক বাজারে আনে। আর এই পোশাক ফ্যাশন সচেতনদের নিকট পরিচয় করিয়ে দিতেই প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার বিপ্লব সাহা আমন্ত্রণ জানান সুবর্ণা মোস্তফাকে।
বিপ্লব সাহা বলেন, সুবর্ণা আপার সাথে আমার পরিচয় ২০০১ সালে। বিভিন্ন সময় তাঁর সাথে আমার নানা বিষয় নিয়ে কথা হয়। আমার ফ্যাশন হাউজ থেকে কেনাকাটাও করেন তিনি। দুর্গাপূজার সময় আমাদের ফটোশুট দেখে মুগ্ধ হন। তিনি বলেন, সুবর্ণা আপা এরপর আমাকে মজা করেই বললেন সবাইকে তুমি মডেল বানাও, আমাকে তো বলো না। কথাটা মজা করে হলেও আমি মাথায় রেখেছিলাম এবং বড় একটা ইভেন্ট খুঁজছিলাম। বিজয় দিবসের মতো একটা ইভেন্ট পেয়ে সুবর্ণা আপাকে জানালাম, তিনি রাজি হলেন।
আশির দশকে সুবর্ণা মোস্তফা ছিলেন দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় টিভি অভিনেত্রী। বিশেষ করে আফজাল হোসেন এবং হুমায়ুন ফরীদির সাথে তার জুটি ব্যাপক দর্শক সমাদর লাভ করে। সুবর্ণা মঞ্চ এবং চলচ্চিত্রেও প্রচুর অভিনয় করেছেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগ থেকে ডিগ্রি লাভ করেন।
১৯৮০ সালে সৈয়দ সালাউদ্দিন জাকী পরিচালিত ঘুড্ডি সিনেমার মাধ্যমে তিনি চলচ্চিত্র জগতে আসেন। তবে তিনি নিয়মিত গড়পড়তা চলচ্চিত্রে অভিনয় করেননি। কিছু জীবন ঘনিষ্ঠ চলচ্চিত্রে তিনি অভিনয় করেছেন। তবে মূলধারার কিছু সিনেমাতেও তাঁর উপস্থিতি লক্ষ্যণীয়।
নয়নের আলো সিনেমাতে তার অভিনয় সব শ্রেণীর দর্শককে নাড়া দিয়েছিল। দর্শকদের মাঝে ছিল তার ঈর্ষনীয় জনপ্রিয়তা। অনেকের মতে চেহারায় বাঙালি রমনীর শাশ্বত সৌন্দর্যের মৌন রূপ স্পষ্ট এবং স্মিত যৌন আবেদন ও রহস্যময় ঘরানার সৌন্দর্য তার সামগ্রিক সৌন্দর্যকে প্রায় ক্ল্যাসিক রূপ দিয়েছে। আবার অনেকের মতে টিভি পর্দায় তিনি যতটা ভরাট, আকর্ষণীয়, চলচ্চিত্রের পর্দায় তিনি অতটা নন। ১৯৮৩ সালে নতুন বউ চলচ্চিত্রে অভিনয় করে তিনি শ্রেষ্ঠ সহ-অভিনেত্রী হিসেবে জাতীয় পুরস্কার পান।