দেশের খবর: মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সাকা চৌধুরীর ফাঁসি হওয়ার পর থেকে তার পরিবার রাজনীতিতে অনেকটা কোণঠাসা। চট্টগ্রামে এবারই প্রথম সালাহউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীর পরিবারের প্রার্থী নেই বিএনপিতে। দীর্ঘদিন ধরে উত্তর চট্টগ্রামে ভোটের রাজনীতিতে আধিপত্য বিস্তারকারী সাকা চৌধুরীর পরিবারের কেউ প্রার্থী হচ্ছেন না।
মূলত এর মাধ্যমে চট্টগ্রামের রাজনীতি থেকেও সাকা পরিবারের বিদায় হয়েছে বলে মন্তব্য করছেন অনেকেই। এবার ফটিকছড়ি থেকে সাকা চৌধুরীর স্ত্রী ফারহাত কাদের চৌধুরী, রাঙ্গুনিয়া থেকে ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরী মনোনয়ন পেতে পারেন বলে গুঞ্জন ছিল। তবে শেষ পর্যন্ত এদের কেউই বিএনপির মনোনয়ন পাননি। জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে বিএনপির সাধারণ নেতাকর্মীদের মধ্যেও ব্যাপক আগ্রহ ছিল সাকা চৌধুরীর পরিবার নিয়ে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ওই পরিবারের কেউ নির্বাচন করছেন না।
তবে কেউ কেউ এটিকে অঘটন উল্লেখ করে বলেছেন, নানা প্রতিকূল পরিস্থিতির কারণে এবার সাকা পরিবারের সদস্যরাও নির্বাচনে অংশ নিতে আগ্রহী ছিল না। তাই তারা বিএনপির মনোনয়ন চাননি। দলীয় সূত্রমতে, সাকা চৌধুরী বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের হয়ে বেশ কয়েকবার জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। আর যতবারই সংসদ নির্বাচন করেছেন, ততবার কোনো না কোনো আসনে বিজয়ী হয়েছেন। রাউজান, রাঙ্গুনিয়া ও ফটিকছড়ির তিনটি আসন থেকে ছয়বার জাতীয় সংসদে প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন তিনি। প্রথম তিন সংসদ নির্বাচনে রাউজান থেকে এমপি হলেও পরের তিন নির্বাচনে রাঙ্গুনিয়া ও ফটিকছড়ির দুটি আসনে নির্বাচন করেছিলেন। যুদ্ধাপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ড হওয়ার সময় তিনি ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য। এসব কারণে চট্টগ্রামের রাজনীতিতে দোর্দণ্ড প্রতাপ খাটাতো সাকা পরিবার। দলীয় সূত্র জানায়, সাকা চৌধুরীর স্ত্রী ও ছেলে নিজ থেকেই প্রার্থী হতে আগ্রহ প্রকাশ করেননি। এ অবস্থায় নির্বাচনী লড়াইয়ে এবারই প্রথম সাকা পরিবারের কোনো সদস্য থাকছেন না নির্বাচনী লড়াইয়ে।