স্বাস্থ্য ডেস্ক: মস্তিষ্কের স্বাভাবিক কাজে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হলে খিঁচুনি হয়। মারাত্মক সংক্রমণ, যেমন—মেনিনজাইটিস, মাথায় আঘাত এবং উচ্চমাত্রার জ্বর পাঁচ বছর বয়সের নিচের শিশুদের মস্তিষ্কে উত্তেজনা ঘটায়। এতে খিঁচুনি হতে পারে। যা জানা দরকার আপনার বাচ্চার নিচের কোনো একটি লক্ষণ অথবা সবগুলো লক্ষণই আছে কি না, সেটা পরীক্ষা করে দেখুন। — জ্ঞান হারানো। — চোখ পিটপিট করা, এক দৃষ্টিতে তাকানো অথবা চোখ উল্টে যাওয়া। — শরীর, বিশেষ করে হাত ও পা কাঁপা। — প্রস্রাব-পায়খানার নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা হারানো। কী করবেন বাচ্চার খিঁচুনি থাকলে : — শান্ত রাখুন। বেশির ভাগ খিঁচুনি পাঁচ মিনিটের কম স্থায়ী হয়। — বাচ্চাকে একপাশে কাত করে রাখুন কিংবা উপুড় করে রাখুন। এতে মুখ থেকে লালা বেরিয়ে যেতে পারে। — বাচ্চাকে এমন নিরাপদ স্থানে রাখুন, যাতে সে পড়ে না যায় কিংবা তার শরীরে অন্য কোনো বস্তুর আঘাত না লাগে।— বাচ্চার নড়াচড়ার ধরন খেয়াল করুন এবং খিঁচুনি কতক্ষণ স্থায়ী থাকে, সেটা খেয়াল করুন।— খিঁচুনির সময় বাচ্চার শরীর গরম থাকলে তার কাপড়চোপড় খুলে ফেলুন এবং তাকে ঠান্ডা রাখুন।— খিঁচুনির পর বাচ্চাকে বিশ্রামে রাখুন।কী করবেন না যখন আপনার বাচ্চার খিঁচুনি হয় : — বাচ্চার দুই দাঁতের পাটির মাঝখানে জোর করে কোনো বস্তু ঢোকাবেন না। — বাচ্চাকে ধরার চেষ্টা করবেন না কিংবা তার কাঁপা বন্ধ করার চেষ্টা করবেন না।— খিঁচুনির সময় বাচ্চাকে কোনো কিছু পান করাবেন না কিংবা কোনো ওষুধ দেবেন না। — খিঁচুনি থামানোর জন্য বাচ্চাকে গোসল করাবেন না। কখন ডাক্তারের কাছে যাবেন যদি আপনার বাচ্চার খিঁচুনি হয় অথবা পূর্বে খিঁচুনি থাকে :— বাচ্চার শরীর নীল হয়ে গেলে কিংবা তার খিঁচুনি পাঁচ মিনিটের বেশি স্থায়ী হলে বাচ্চাকে হাসপাতালে নিয়ে যাবেন।— বাচ্চার খিঁচুনির পর সব সময় ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন।প্রতিরোধ ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী খিঁচুনির ওষুধ দেবেন। মাথার আঘাত প্রতিরোধ করতে কিছু ব্যবস্থা নেবেন। যেমন : — খেলাধুলার নিরাপদ সামগ্রী ব্যবহার করবেন।— মোটরসাইকেল কিংবা বাইসাইকেলে চড়ানোর সময় মাথায় হেলমেট পরিয়ে নেবেন।— গাড়িতে চড়ানোর সময় সিটবেল্ট বেঁধে দেবেন।