জাতীয়

সংসদে ৬০টি সংরক্ষিত আসন চায় হিন্দু মহাজোট

By daily satkhira

November 30, 2018

দেশের খবর: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংখ্যালঘু নির্যাতনকারী স্বাধীনতা বিরোধী ও সাম্প্রদায়িক শক্তিকে মনোনয়ন দেওয়া ও নির্বাচনের আগে সারাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর নির্যাতনের প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট। বিভিন্ন দাবির সাথে সংসদে ৬০টি সংরক্ষিত আসনও চেয়েছে তারা।

শুক্রবার (৩০ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে এ দাবি জানান সংগঠনটির নেতৃবৃন্দ। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ইশতেহারে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের দাবি অন্তর্ভুক্তির দাবিও জানানো হয় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে।

বক্তারা ব‌লেন, ‘‘আমরা সরকার ও রাজনৈতিক দল ও জোটের কাছে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে অনুরোধ করেছিলাম যেন, এবারের নির্বাচনে কোনো সংখ্যালঘু নির্যাতনকারী ও স্বাধীনতা বিরোধী ও সাম্প্রদায়িক শক্তির কাউকে নমিনেশন দেয়া না হয়। কিন্তু দেখা গেলো বিভিন্ন দলের বা জোট মনোনয়ন দিয়েছেন তাদের। কোনো দলই আমাদের কথা রাখেনি। তাই হিন্দু মহাজোটের মূল স্লোগান হবে ‘সংখ্যালঘু নির্যাতনকারীকে ভোট দেবো না, ভোট দিবেন না।’’

জোটটির নির্বাহী মহাসচিব ও মুখপাত্র পলাশ কান্তি দে বলেন, ‘আমরা দাবি করেছিলাম যে, এবার যেন সাংখ্যানুপাতিক হারে মনোনয়ন দেয়া হয়। কিন্তু সেটাও কোনো দল করেনি। বরং বিগত নির্বাচনের চেয়েও এবার কৌশলে কমিয়ে আনা হয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে শুধু দেশ হিন্দু শুন্য হবে না বরং জাতীয় সংসদও হিন্দুশুন্য হবে।’

সহ-সভাপতি সমীর সরকার বলেন, ‘হিন্দু ভোটারদের বলবো, যে সমস্ত প্রার্থী বিগত দিনে সংখ্যালঘু নির্যাতনের সাথে জড়িত বা উস্কানি দিয়েছেন এবং স্বাধীনতা বিরোধী ও সাম্প্রদায়িক তাদের যেন ভোট না দেয়া হয়।’

মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক হারাধন বিশ্বাস বলেন, ‘প্রতি নির্বাচনই হিন্দু সম্প্রদায়ের জন্য এক মূর্তিমান আতঙ্ক। যা প্রতিবারই ফিরে আসে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে এখনই মহাআতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। যে আক্রমন হচ্ছে।’

সমাজকল্যাণ সম্পাদক মনোজ কুমার বলেন, ‘আমরা আশঙ্কা করছি, অতীতের মতো এবারও হিন্দু সম্প্রদায়ের ঘর-বাড়ি, প্রতিমা ভাংচুর, নারীর উপর অত্যাচার ও নির্যাতন হতে পারে। কারণ নির্বাচন নিয়ে আমাদের আগের ঘটনা সুখকর নয়। নির্বাচন এদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের কাছে নির্যাতন। নির্বাচন এলে নির্যাতনের মহোৎসবে পরিণত হয়। এবার যেন এসব কোনো কিছুই না হয়, সেজন্য সরকার, সকল রাজনৈতিক দল ও নির্বাচন কমিশন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানানো হয়।’

মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের দাবি সমূহ হচ্ছে:

১. নির্বাচন উপলক্ষ্যে হিন্দু নির্যাতন নিরোধকল্পে একটি কমিশন গঠন করতে হবে

২. হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে জাতীয় সংসদে ৬০টি সংরক্ষিত আসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে

৩. নির্বাচনী ইশতেহারে একটি সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা এবং সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন উল্লেখ করতে হবে।

৪. বিভিন্ন স্থানে নির্বাচনের আগে ও পরে যে নির্যাতন হয় সে সমস্ত এলাকায় ভোট স্থগিত করতে হবে। তদন্ত কমিটি করে যে দলেরই হোক না কেন, প্রকৃত অপরাধীদের যেন গ্রেফতার করে শাস্তির মুখোমুখি করা হয়।