শ্যামনগর প্রতিনিধি: পল্লী বিদ্যুতের নিয়ম বহির্ভুত বিদ্যুতের তার টানার কারণে হুমকির মুখে পরিবেশ। প্রাকৃতিক ভারসাম্য ও জীব বৈচিত্র সুরক্ষায় এবং অর্থনৈতিক ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বৃক্ষ ও বনাঞ্চলের অবদান অপরিসীম। প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষা করার জন্য দেশের আয়তনের এক – চতুর্থাংশ অর্থাৎ ২৫% বনভুমি থাকার কথা থাকলেও সরকারি মতে ১৭.৬২ ভাগ বনভুমি। কিন্তু পল্লী বিদ্যুতের নিয়মিত গাছ ছাটার কারনে ধীরে ধীরে নিচে নেমে আসছে বনায়নের শতাংশ। সরকার সহ বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলা ও পরিবেশ রক্ষায় ব্যাপক ভাবে বনায়নের উদ্যোগ ও প্রকল্প গ্রহণ করছে অন্যদিকে পল্লী বিদ্যুৎ বনায়ন ধ্বংস করছে।একটি গাছ পাঁচ বছরে হিসাব মতে বায়ু দূষন থেকে রক্ষা করে ১০ লক্ষ টাকা, জীবন রক্ষাকারী অক্সিজেন দেয় যার মূল্য ৫ লক্ষ টাকা, বৃষ্টির অনুকুল পরিবেশ সৃষ্টি করে বাঁচায় পাঁচ লক্ষ টাকা, মাটি ক্ষয়রোধ ও উর্বরতা বৃদ্ধি করে যার মূল্য পাঁচ লক্ষ টাকা, পাখি কাঠবিড়ালী এসব গাছ নির্ভর প্রাণীর খাদ্য আশ্রয় মূল্য প্রদান করে পাঁচ লক্ষ টাকা আসবাব পত্র, জ্বালানী কাঠ সহ ফল সরবরাহ করে পাঁচ লক্ষ টাকা, জীব জন্তুর খাদ্য যোগান দেয় ০.৪০ লক্ষ টাকা অর্থাৎ পাঁচ বছরে ৪০.৪০ লক্ষ টাকার উপকার করে একটি গাছ। কিন্ত প্রতিনিয়ত হাজার হাজার গাছ ধ্বংস করছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি। বিভিন্ন এলাকায় দেখলে দেখা যায় গাছ ছাটার নামে যেন গাছ নিধনের হলি খেলায় নেমেছেন তারা। শ্যামনগর সদরের প্রধান সড়কের পার্শ্বে ও গ্রামের মধ্যে দেখা যায় কিছু দিন পর পর পল্লী বিদ্যুতের গাছ ছাটার নামে চলছে গাছ নিধনের পায়তারা। শ্যামনগর সদরের বিভিন্ন মানষ অভিযোগ করে বলেন “আমরা অনেক কষ্ট করে গাছ রোপন করি কিন্তু গাছ বেড়ে ওঠার সাথে সাথে পল্লী বিদ্যুতের লোকজন ছেটে দিয়ে যায়”। মুন্সিগঞ্জের আনিছুর রহমান জানান “আমাদের এখানে গাছ কেটে নেড়া করে দেওয়া হচ্ছে, কিন্ত প্রতিবাদ করেও কাজ হচ্ছেনা” তাছাড়া মুন্সিগঞ্জ ট্রাস্ট ব্যাংকের সামনে একটি তাল গাছের দিকে দেখলে দেখা যায় গাছটি চেনার মত নেই ।এ বিষয়ে সাতক্ষীরা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির শ্যামনগর অফিস ইনচার্জ এর মুঠো ফোনে কথা হলে তিনি বলেন“নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ও নিরাপত্তার জন্য আমরা গাছ কেটে থাকি”। এলাকার সচেতন মহল মনে করেন এখনি যদি পদক্ষেপ নেওয়া না হয় তাহলে অতি অচিরেই পরিবেশ ব্যাপক হুমকির মধ্যে পড়বে, সুতরাং প্রাকৃতিক ভারসাম্য ও জীব বৈচিত্র সুরক্ষায় এবং অর্থনৈতিক ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের লক্ষে বিষয়টি সরকার এবং পল্লী বিদ্যুতের উর্দ্ধতন কতৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসি ।