বিদেশের খবর: মুম্বাইয়ে ১৭ বছর বয়সী এক কিশোরকে বিয়ে করায় ২০ বছর বয়সী এক তরুণীকে আটক করেছে ভারতীয় পুলিশ।
গত ১৫ দিন ধরে ওই নারী ও তার পাঁচ মাসবয়সী শিশুকন্যা কারাগারে রয়েছেন।
ওই কিশোরের মা থানায় অভিযোগ দায়েরের পর তাকে আটক করা হয়েছে। ভারতীয় শিশু যৌন হয়রানির কঠোর আইনের আওতায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে।
দুজনের সম্মতিতেই এ বিয়ে হয়েছে বলে দাবি করেন ওই তরুণী। তার স্বামী অপ্রাপ্তবয়স্ক বলে যে দাবি করা হচ্ছে তার প্রতিবাদ জানিয়েছেন তিনি।
ভারতীয় আইনে সব লিঙ্গের যৌন সম্মতির বয়স ১৮। আর বৈধভাবে বিয়ে করতে ছেলেদের ২১ ও মেয়েদের ১৮ বছর হতে হবে। শিশু বিবাহ নিষিদ্ধ আইনের আওতায়ও এই তরুণীর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে।
দিল্লিতে বিবিসির সাংবাদিক গীতা পাণ্ডে বলেন, এখানে অপ্রাপ্তবয়স্ক পুরুষকে বিয়ে করায় কোনো নারীকে আটকের ঘটনা বিরল। ভারতে ১৮ বছরের কম বয়সী মেয়েদের বিয়ে করার অভিযোগে যুবকদের গ্রেফতার হওয়ার উদহারণের অভাব নেই।
গত বছরের ডিসেম্বরে ওই কিশোরের মা পুলিশের কাছে করা অভিযোগে বলেন, পরিবারকে নিয়ে ওই নারী তার ছেলেকে অপহরণ করে বিয়ে করতে বাধ্য করেছে। মুম্বাইয়ের এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, পূর্ণ তদন্তের পরই তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাছাড়া অভিযুক্ত একজন নারী হওয়ায় তাকে আটকের ক্ষেত্রে আইনি পরামর্শও নেওয়া হয়েছে।
অভিযোগে কিশোরের মা বলেন, দুই বছর ধরে ওই তরুণীর সঙ্গে তার ছেলের সম্পর্ক ছিল। তার ছেলে দেখা না করলে আত্মহত্যারও হুমকি দিয়েছিল ওই তরুণী। ইতোমধ্যে জামিন আবেদন করেছেন আটক তরুণী। সেখানে তার স্বামীকে প্রাপ্তবয়স্ক বলেই উল্লেখ করেছেন তিনি।