আবু ছালেক ; সাতক্ষীরাই শীত কালিন সব্জি চাষে ব্যাস্ত কৃষকরা অনেকে বাজারে উঠালো সবজি, শীত এসেছে শীত কালিন সব্জি চাষে ব্যাস্ত কৃষকরা । শীতকালীন সবজির চাষ শুরু করেছেন চাষিরা। প্রতি বছর উৎপাদিত সবজি বাজারে তুলে বিক্রয় করে কৃষকরা ভালো দাম পেয়ে থাকেন, চাষিরা তাই সবজি আবাদে আগ্রহী তারা। সাতক্ষীরা জেলার সকল উপজেলার কৃষকরা শীতকালীন সবজি চাষে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন।সরেজমিনে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ফিংড়ী,ফয়জুল্যাপুর,জোড়দিয়া,কুলতিয়া,গোবরদাড়ী, এলাকা সহ বিভিন্ন গ্রামের চাষিরা ব্যস্ত শীতকালীন সবজি চাষে। অন্যান্য ফসলের তুলনায় শীতকালীন সবজি চাষ লাভবান হওয়ায় কৃষকেরা এদিকেই ঝুঁকে পড়েছেন বলে জানান এলাকার কৃষকরা। শীতের শুরুতেই বাজারে বিক্রি করে বেশি টাকা আয়ের আশায় চাষিরা এখন জমিতে শীতকালীন শাকসবজির চারা বপন ও পরিচর্যার কাজ করছেন,অনেকে অগ্রিম চাষ করে বাজারে সব্জি বিক্রয় করছেন, এ সমস্ত এলাকায় এবার যেসব শাক সবজি চাষ হচ্ছে সেগুলোর মধ্যে আলু, মূলা, বেগুন, ফুলকপি, বাঁধাকপি, টমেটো, ঢেঁড়স, লালশাক, পালংশাক, পুঁইশাক, লাউ অন্যতম। জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে পাইকারি ও খুচরা উৎপাদিত এসব সবজি মাঠ থেকেই ক্রয় করে নিয়ে যায়। তারা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নিয়ে গিয়ে থাকেন,অধিক লাভের আশায় , শীতকালীন সবজি চাষে আগ্রহ বেড়েছে কৃষকদের, শীতকালীন বিভিন্ন জাতের সবজির চারা রোপণ ও পরিচর্যায় কৃষক পরিবারগুলোতে ব্যস্ততা বেড়েছে। শুধু নিজেদের চাহিদাই নয়, বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে এসব সবজি। শীতের শুরুতে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে বিভিন্ন জাতের সবজি পাঠাবে এ জেলার কৃষকরা।কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, যেকোনো ফসল আগাম চাষ হলে বাজারে চাহিদা বেশি থাকে। তাই মুনাফাও অনেক বেশি হয়, জমিতে সবজি চাষে ঝুঁকছেন তারা। অল্প সময়ে কম খরচে অধিক মুনাফা লাভের জন্য ফুলকপি ও বাঁধাকপির জুরি নেই। পানি জমে না এমন উঁচু জমি কপি চাষের জন্য উপযুক্ত।বাণিজ্যিক ভিত্তিতে সবজি চাষে বেশ আলোড়ন তুলেছেন কৃষকরা,শীত কালিন সবজি চাষ করে নিজেদের স্বাবলম্বী করার পাশাপাশি জেলার অর্থনৈতিক উন্নতিতে ব্যাপক অবদান রাখছেন কৃষকরা, সবজি ক্ষেতে পোকামাকড় আক্রমণ করবেই। সেজন্য কীটনাশক ব্যবহার না করেই আধুনিক বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করে পোকামাকড় দমন করা সম্ভব। সবজি ক্ষেতে কীটনাশক ব্যবহার অনেকটাই কম থাকায় সবজি গুনগত মানে সেরা হওয়ায় চাহিদাও অনেক বেশি বলে জানায় কৃষকরা,শীতকালীন সবজির বাজার ধরতে তারা ফুলকপি ও বাঁধাকপির চারা রোপণ করেছেন। কার্তিক মাসের শেষ দিকে কৃষকদের সবজি বাজারে উঠছে, সবজি চারা রোপণের আগে জমি তৈরি করে কিছু দিন রাখা হয়। এতে কপির চারা রোগ-বালাই প্রতিরোধের ক্ষমতা সঞ্চয় করে এবং গাছগুলো সবল হয়। এছাড়াও দেশের বিভিন্ন নার্সারি থেকে চারা সংগ্রহ করে রোপণ করেন কৃষকরা। তবে এ বছর বৃষ্টি কম হওয়ায় কৃষকদের নিজের চারাগুলো নষ্ট হয়নি। ফলে উৎপাদন খরচ কিছুটা কম হওয়াই কৃষকরা এ বছর ব্যাপক লাভবান হচ্ছে।