খেলার খবর: নিজের অভিষেক টেস্টেই ঝলক দেখিয়েছেন বাঁহাতি ওপেনার সাদমান ইসলাম। উইন্ডিজের বিপক্ষে মিরপুর টেস্টে ক্যামেরা আর মাইক্রোফোনের সব আলো কেড়ে নেয়া এই প্রতিভাবান ক্রিকেটারের বয়স ২৩ বছর ১৯৬ দিন।
কৈশোর পার করা এক তরুণ। খেলতে এসেছিলেন উইন্ডিজের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচ। বিসিবি একাদশের হয়ে ৭৩ রানের ইনিংস খেলে রয়ে গেলেন জাতীয় দলের সঙ্গে। কিন্তু টিম কম্বিনেশন তাকে চট্টগ্রামের প্রথম টেস্টে একাদশ বঞ্চিত করে। তবে দ্বিতীয় টেস্টে তাকে সেরা একাদশে নিতে ভুল করেনি বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্ট। তার প্রতিদানও দিলেন তিনি।
ঢাকা টেস্টে অভিষেক ম্যাচে ৭৬ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। শুক্রবার (৩০ নভেম্বর) ঢাকা টেস্টে অভিষেক হয় সাদমান ইসলাম অনিকের। দেশের ৯৪তম ক্রিকেটার হিসেবে টেস্ট ক্যাপ পরেন সাদমান।
এদিন ১৪৭তম বলে জোমেল ওয়ারিক্যানকে সুইফ শটে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ফিফটি পূর্ণ করেন সাদমান। সেঞ্চুরির পথে অগ্রসর হওয়া এই ওপেনার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের প্রথম ম্যাচে ফেরেন ৭৬ রান করে।
আর এই ইনিংসের মধ্য দিয়ে টেস্ট অভিষেকে বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান হিসেবে সবচেয়ে বেশি রান সংগ্রহের দিক থেকে সাদমান আছেন সাতে। ১৪৫ রান নিয়ে সবার ওপরে আমিনুল ইসলাম, ১১৪ রান নিয়ে দুইয়ে সাবেক অধিনায়ক আশরাফুল। ১১৩ রান নিয়ে তিনে আবুল হাসান রাজু।
অভিষেক ম্যাচে অপরাজিত ৮৫ রান করেছেন জাভেদ ওমর বেলিম, ৮৪ রান করেছেন দেশ সেরা ওপেনার তামিম ইকবাল। ৭৮ রান করেছেন জাতীয় দলের সাবেক খেলোয়াড় নাজিমুদ্দিন।
এছাড়াও ৭৬ রানের এ ইনিংসের মধ্য দিয়ে জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক হাবিবুল বাশার সুমনকে ছাড়িয়ে গেছেন সাদমান। ২০০০ সালে ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের প্রথম টেস্টে অভিষেক হয় হাবিবুল বাশারের। বাংলাদেশের অভিষেক টেস্টে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ৭১ রানের ইনিংস খেলেন বতর্মানে জাতীয় দলের নির্বাচকের দায়িত্বে থাকা সুমন।
জাতীয় দলের হয়ে ৫০টি টেস্ট খেলে ১৮টিতে নেতৃত্ব দেন হাবিবুল বাশার। ব্যাট হাতে তিন সেঞ্চুরির সাহায্যে ৩ হাজার ২৬ রান করে অবসরে যান দেশের অন্যতম সফল এই অধিনায়ক।