খেলার খবর: ফিট হয়ে ম্যাচ খেলতে নামেন সবাই। স্টিভ রোডস সাকিব আল হাসানকে বললেন খেলে ফিট হতে! কোচের পীড়াপীড়িতে মাঠে নেমে যাওয়া সিরিজ শেষে বাংলাদেশ অধিনায়ক হাসিমুখে বলছেন, খেলে ফিট হওয়া ক্রিকেটার হয়তো তিনিই একমাত্র!
খেলেছেন তো বটেই, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে ম্যান অব দা সিরিজও সাকিব। ক্যারিয়ারে সিরিজ সেরা হলেন এই নিয়ে পাঁচ বার। বাংলাদেশের হয়ে একবারের বেশি হতে পারেননি আর কেউ।
অথচ এই সিরিজে তার দলে থাকাই ছিল বড় বিস্ময়। আঙুলের চোট কাটিয়ে ফেরার লড়াইয়ে ছিলেন। কিন্তু এত দ্রুত ফিরবেন, এটা ছিল না স্বয়ং সাকিবের ধারণার সীমানাতেও।
প্রথম টেস্ট খেলতে প্রবল আপত্তি ছিল স্বয়ং সাকিবেরই। ম্যাচের আগের দিন চট্টগ্রামে সংবাদ সম্মেলনেও বলে গিয়েছিলেন, সংশয় আছে তার খেলা নিয়ে। সিদ্ধান্ত নেবেন ম্যাচের দিন সকালে অবস্থা বুঝে। শেষ পর্যন্ত সেই দ্বিধার দেয়াল ভেঙেছেন স্টিভ রোডস। সিরিজের শেষ দিনে বাংলাদেশ অধিনায়ক ফিরে গেলেন সিরিজের শুরুতে।
“সত্যি কথা বলতে, প্রথম টেস্টটি আমি খেলতে চাইনি। একমাত্র কোচের কারণেই খেলা হয়েছে। আমি কোনোভাবেই খেলতাম না। আমাকে যতবার বলেছে, আমি বলেছি ‘পারব না।’ কারণ আমার ওই বিশ্বাসই ছিল না। আপনারা যদি আমার বোলিং দেখে থাকেন, আমি তিন-চার ওভারের স্পেল করেছি। কারণ আমার শরীরের অবস্থাই ওইরকম ছিল।”
“কিন্তু কোচ বলছিলেন যে, তুমি ম্যাচ খেলেই ফিট হতে পারবে। আমার মনে হয়, আমি একমাত্র প্লেয়ার বিশ্ব ক্রিকেটে, যে ম্যাচ খেলে ফিট হয়েছি!”
শেষ পর্যন্ত নিজের শরীর ওপর জোর করে মাঠে নেমেও যে পারফরম্যান্স দেখিয়েছেন, তাতে খুশি বাংলাদেশ অধিনায়ক।
“একটা জিনিস ভালো যে, আমি যে ছোট ছোট করে অবদান রাখতে পেরেছি। বিশেষ করে, নতুন বলে ব্রেক থ্রুগুলো আমার কাছে মনে হয় খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। অবশ্যই সবাই ভালো বোলিং করেছে, তবে ওই অবদানগুলো আমি মনে করি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল এই সিরিজে জয়ের পেছনে।”