জাতীয়

কোটিপতি স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রীর বাসায় কোনো ইলেকট্রনিক সামগ্রী নেই

By daily satkhira

December 03, 2018

দেশের খবর: মানিকগঞ্জ-৩ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেকের বাসায় কোনো ইলেকট্রনিক সামগ্রী নেই। তবে তার বাৎসরিক আয় ১ কোটি ৩৮ লাখ ৩৮ হাজার ৮৪৪ টাকা বলে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে জমা দেয়া মনোনয়নপত্রের সঙ্গে হলফনামায় তিনি জানিয়েছেন।

হলফনামায় দেখা যায়, অস্থাবর সম্পদের তালিকায় ইলেকট্রনিক সামগ্রীর বিবরণের তিনটি ঘরই (নিজ, স্ত্রী ও নির্ভরশীলদের নামে) তিনি ফাঁকা রেখেছেন। ৯নং ক্রমিকে আসবাবপত্রের বিবরণ না লিখলেও শুধু ৭০ হাজার টাকা মূল্য উল্লেখ করেন তিনি।

হলফনামা থেকে জানা যায়, জাহিদ মালেক বি.এ (অর্নাস), এম.এ পাস। বাড়ি ও অ্যাপার্টমেন্ট বা দোকান ভাড়া থেকে তার বাৎসরিক আয় ১ কোটি ৩৮ লাখ ৩৮ হাজার ৮৪৪ টাকা। ব্যবসা থেকে আয় ২৬ লাখ ৯৬ হাজার ৬০০ টাকা।

অন্যান্য আয়ের ঘরে সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করার কথা বলা হলেও তিনি শুধু এমপির সম্মানীভাতা উল্লেখ করে ২৯ লাখ ৮১ হাজার ৫৮০ টাকা লিখেছেন। এছাড়া ব্যবসা ও পেশার বিবরণীতে তিনি শুধুমাত্র প্রতমন্ত্রী, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় উল্লেখ করেছেন।

হলফনামায় জাহিদ মালেক উল্লেখ করেছেন, তার নগদ টাকা আছে মাত্র ২ লাখ ৬২ হাজার। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা ৩ কোটি ৫৭ লাখ ৪৯ হাজার ২৯৫ টাকা। তার স্ত্রী ও নির্ভরশীলদের নামে নগদ অথবা ব্যাংকে কোনো টাকা নেই।

বন্ড,ঋণপত্র, স্টক একচেঞ্জে তালিকাভুক্ত ও তালিকাভুক্ত নয় এমন কোম্পানী শেয়ার আছে ২৬ কোটি ৪০ লাখ ৯৭ হাজার ২৯৫ টাকার। তার স্ত্রীর রয়েছে ৩ কোটি ৬ লাখ ৯৩ হাজার ৫০০ টাকার। এছাড়া বাস, ট্রাক, মোটরগাড়ী ও মটরসাইকেল ইত্যাদি আছে ১ কোটি ৪ লাখ ৮৬ হাজার ৪৭৭ টাকার।

নিজের নামে স্বর্ণ, ধাতু পাথর নির্মিত কোনো অলঙ্কার তার নেই। তবে স্ত্রীর নামে আছে ৪ লাখ টাকার।

স্থাবর সম্পদের মধ্যে উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া যৌথ মালিকানায় ৪০ বিঘা কৃষি জমি ও উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া ১ কোটি ৩৯ লাখ ৪২ হাজার টাকা মূল্যের (অর্জনকালীন সময়ের মূল্য) অকৃষি জমি রয়েছে। এছাড়া তার দালান (আবাসিক ও বানিজ্যিক) সংখ্যা নিজ নামে জমিসহ ১৬ তলা বিল্ডিংয়ের ১১ তলা এবং স্ত্রীর নামে ১ ফ্ল্যাট, উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া ১৬.৪ শতাংশ এবং ৩৭ শতাংশ জমির মালিক তিনি। জাহিদ মালেক স্বপন মানিকগঞ্জ-৩ আসন থেকে ২০১৪ সালে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। নির্বাচনের পূর্বে ভোটারদের দেয়া যোগাযোগ ব্যবস্থা, শিক্ষা, চিকিৎসাসেবা, অবকাঠামো, নারী শিক্ষা ও নারীর ক্ষমাতয়নের সকল প্রতিশ্রুতিই তিনি শতভাগ পূরণ করেছেন বলে হলফনামায় উল্লেখ করেছেন।