দেশের খবর: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের পর ছয়টি আসনে আপাতত প্রার্থীশূন্য হয়ে পড়েছে বিএনপি। এমনকি বিএনপিজোটের কোনো প্রার্থীও নেই এই ছয়টি আসনে।
আসনগুলো হলো বগুড়া–৭, ঢাকা-১, মানিকগঞ্জ-২, জামালপুর-৪, রংপুর-৫ ও শরীয়তপুর–১ আসন।
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বগুড়া-৭ আসনে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। তাঁর বিকল্প হিসেবে প্রার্থী ছিলেন গাবতলী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোরশেদ মিলটন। রোববার বাছাইয়ে দুজনের মনোনয়নপত্রই বাতিল হয়েছে। দুর্নীতির মামলায় সাজা হওয়ায় খালেদা জিয়ার এবং উপজেলা চেয়ারম্যানের পদত্যাগপত্র গৃহীত না হওয়ায় মোরশেদের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।
ঢাকা-১ (দোহার-নবাবগঞ্জ) আসনে বিএনপির প্রার্থী দলটির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও নবাবগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান খোন্দকার আবু আশফাক এবং সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাবেক সাংসদ ফাহিমা হোসাইন জুবলীর মনোনয়নপত্র বাছাইয়ে বাতিল হয়েছে। ঢাকা জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র বলেছে, উপজেলা চেয়ারম্যান পদ থেকে আশফাকের পদত্যাগের নথি নির্বাচন কমিশনে না পৌঁছানোয় তাঁর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। স্বাক্ষরসংক্রান্ত জটিলতার কারণে ফাহিমার মনোনয়নপত্র বাতিল হয়।
মানিকগঞ্জ-২ (সিঙ্গাইর, হরিরামপুর ও সদরের তিন ইউনিয়ন) আসনে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মইনুল ইসলাম খানের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের স্বাক্ষরের গরমিল হওয়ায়। এই আসনের বিএনপির আরেক প্রার্থী সিঙ্গাইর উপজেলা চেয়ারম্যান আবিদুর রহমান খান। তাঁর পদত্যাগপত্র গৃহীত না হওয়ায় মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
জামালপুর-৪ (সরিষাবাড়ী) আসনে বিএনপির প্রার্থী সরিষাবাড়ী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ফরিদুল কবির তালুকদারের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে পদত্যাগপত্র গৃহীত না হওয়ায়। এই আসনে বিএনপির বিকল্প কোনো প্রার্থী ছিলেন না।
রংপুর-৫ (মিঠাপুকুর) আসনে বিএনপির প্রার্থী সাবেক সাংসদ সোলায়মান আলম ফকির এবং জেলা বিএনপির সদস্য মমতাজ হোসেনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে নথিতে ত্রুটি থাকায়।
শরীয়তপুর–১ আসনে বিএনপির প্রার্থী সরদার নাসিরউদ্দিনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে টেলিফোন বিল বকেয়া থাকায়। ১৯৮৮ থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত টেলিফোন বিল বকেয়া থাকায় বাছাইকালে তাঁর মনোনয়পত্র বাতিল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা কাজী আবু তাহের। নাসির উদ্দিনের কাছে ৩ হাজার ৮১৫ টাকা বিল বকেয়া রয়েছে।