তালা প্রতিনিধি: তালা উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের কৃষক-কৃষাণীরা ধান ঝাড়াইয়ে (পরিষ্কার) অতি ব্যস্থতার মধ্যে সময় অতিবাহিত করছেন। শীতের মিষ্টি মিষ্টি আমেজে যেমনই বেড়েছে অতিথির আনাগোনা তেমনি মেহমানদারিত্বে পিঠাপুলির একটি অংশ ছাড়া যেন জমছে না বলে মনে করছেন কৃষক-কৃষাণী। তাইতো নতুন আমন ধান ঝাড়াই এবং পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করতে নাওয়া খাওয়া পিছনে ফেলে সময় পার করছেন তারা। সাধারণত অগ্রাহায়ণের মাঝামাঝি সময়ে বীজতলা তৈরী শেষে আমন ধান গাছ লাগানো হয়। আর এই ফসলটি অনেকটা বৃষ্টির পানির উপরই নির্ভরশীল কৃষককুল। তবে এ বছর বৃষ্টিপাত একেবারেই কম থাকাই কৃষকরা পড়েছিলেন মহা বিপাকে। উপায়ন্তুর না পেয়ে অধিকাংশ কৃষকগণ ধান গাছের ভালো ফলনের আশায় সেচ পাইপ দ্বারা পানি দিতে বাধ্য হয়েছিলেন। বৃষ্টির পানি ছাড়া এ ফলনটি খুব একটা ভালো আশা করা যায় না। তবুও কষ্টের্জিত ফসল যা পেয়েছেন কৃষককুল তা নিতান্তই খারাপ না। অগ্রাহায়নের শুরুতে আমন ফসলটি কর্তন করে থাকেন কৃষক-কৃষাণী। এ বছরও তার বিপরীত ঘটেনি। ইতিমধ্যে অধিকাংশ কৃষকরা আমন ধান ঝাড়াইয়ের কাজ শেষ করে ফেলেছেন। যাদের এখনও বাকি আছে তারাও ধান ঝাড়াইয়ে ব্যস্থতার মাঝে সময় পার করছেন। আমন ধানের পিঠাপুলির যেন স্বাদই অন্যরকম। সাধারণত এ চালের পিঠা দিয়ে রসপিঠা, তেলপিঠা, পাকানপিঠা, কুলি পিঠা সহ হরেক রকমের পিঠাপুলি তৈরী করেন গৃহিণীরা। নতুন জামাইয়ের মেহমানদারিত্বে তার কোনো অংশে কমতি রাখেন না। অন্যান্য স্বজনরা যেন এর থেকে বাদ পড়েন না। উপজেলার কুমিরা গ্রামের আব্দুস সালামের পুত্র শহিদুল ইসলাম বলেন, জমি বন্ধকী নিয়ে ২ বিঘা মতো জায়গায় ধানগাছ রোপন করেছিলাম। বৃষ্টির পানি যেন একেবারেই না থাকায় সেচ দ্বারা ফসলি ক্ষেতে পানিও দিয়েছিলাম। মন মতো ফলন না পেলেও কোনো অংশ কমতি নেই গাছগুলোতে ধান। ধানাধীন কিছু এলাকার মাঠ-ঘাট ঘুরে সরেজমিনে দেখা যায়, কৃষকরা ধান গাছ কেউ কাটছেন, আবার কেউ গাছ গুলো বাধার কাজে ব্যস্থ আছেন। তড়িঘড়ি করে বাড়িতে নেয়ার জন্য ইচ্ছার যেন কোনো ত্রুটিই নেই। অনেকে আবার ফসলি ক্ষেতে ধান ঝাড়াইয়ের মেশিন দিয়ে গাছ হতে ধান গুলো পরিষ্কারে ব্যস্থতার সময় পার করছেন। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, এ বছর বৃষ্টিপাত কম থাকায় কৃষকরা চাষকৃত জমি সুবিধায় আনতে পারেনি। তবে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ কোনো অংশে ঘাটতি হবে না বলে আশা করছি।