বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর নারীর তালিকায় চার ধাপ এগিয়েছেন। ২০১৮ সালের বিশ্বের ১০০ ক্ষমতাধর নারীর তালিকা প্রকাশ করেছে প্রভাবশালী মার্কিন সাময়িকী ফোর্বস। সেই তালিকায় ২৬তম স্থানে আছেন শেখ হাসিনা। আগের বছর একই জরিপে ৩০তম অবস্থানে ছিলেন তিনি।
মঙ্গলবার (৪ ডিসেম্বর) ফোর্বস ম্যাগাজিন তাদের সর্বশেষ তালিকা প্রকাশ করে। সেই তালিকায় বরাবরের মতো শীর্ষস্থানটি ধরে রেখেছেন জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মারকেল। তবে এই প্রথমবার তালিকায় ঠাঁই মেলেনি যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটনের। প্রতি বছরই বিশ্বের ১০০ ক্ষমতাধর নারীর তালিকা প্রকাশ করে আসছে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ-বাণিজ্য বিষয়ক সাময়িকী ফোর্বস। এর আগে ২০১৬ সালে ৩৬ ও ২০১৫ সালে ৫৯তম স্থানে ছিলেন তিনি। বরাবরের মতো তালিকার শীর্ষস্থান ধরে রাখা অ্যাঙ্গেলা মারকেলের টানা দখলে এই স্থানটি সেই ২০১১ সাল থেকে। অবশ্য মাঝের ২০১০ সাল বাদে ২০০৬ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত শীর্ষস্থানটি তারই ছিল।
অ্যাঙ্গেলা মারকেলের পরের অবস্থানে রয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে। তারপর তৃতীয় স্থানে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল – আইএমএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টিন লাগার্দে, চতুর্থ যুক্তরাষ্ট্রের জেনারেল মোটরসের চেয়ারপারসন ও প্রধান নির্বাহী মেরি বারা এবং পঞ্চম স্থানে ফিডেলিটি ইনভেস্টমেন্টসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা অ্যাবিগেইল জনসন।
এছাড়াও ক্ষমতাধরদের এই তালিকায় ২৩তম স্থানে আছেন ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ। ৯২ বছর বয়সী রানি তালিকার সবচেয়ে বেশি বয়সী। তার পরের স্থান দখল করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বড় মেয়ে ও উপদেষ্টা ইভানকা ট্রাম্প। সম্প্রতি মা হওয়া নিউজিল্যান্ডের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন আছেন তালিকার ২৯তম স্থানে।
বিনোদন জগতের মধ্যে মার্কিন সঙ্গীতশিল্পী টেইলর সুইফট রয়েছেন ৬৮তম স্থানে। তালিকার সবচেয়ে কমবয়সীও তিনি। সদ্যই বিয়ের পিঁড়িতে বসা বলিউড তারকা প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার আছেন ৯৪তে। একমাত্র খেলোয়াড় হিসেবে টেনিস তারকা সেরেনা উইলিয়ামসের অবস্থান ৭৯। তবে এবারের তালিকায় সবচেয়ে অবাক করা ঘটনা যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটনের স্থান না পাওয়া। ২০০৪ সালের পর এই প্রথম তালিকার বাইরে সাবেক ফার্স্ট লেডি।