অনলাইন ডেস্ক : বিএনপির সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচনে এবার সবচেয়ে কম আসন পেয়েছে জামায়াতে ইসলামী। ২০০৮ সালের নির্বাচনের নির্বাচনে ৩৫ আসনে ছাড় পেলেও এবার তারা পেয়েছে ১৯টি। অবশ্য নীলফামারীতে আরো একটি আসন তারা পেতে পারে।এবার জামায়াত ২৫টি আসন পেতে পারে বলে প্রচার আছে। তবে শনিবার রাতে দলটিতে ১৯টি আসনে ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচনের চূড়ান্ত মনোনয়নের চিঠি দেওয়া হয়। ২০০১ সাল থেকে জোটবদ্ধ নির্বাচন করছে বিএনপি ও জামায়াত। ওই বছর এবং ২০০৮ সালে দলটি ৩৫টি আসন পেয়েছিল বিএনপির কাছে। এর মধ্যে ছাড় না পেয়ে ২০০১ সালে তিনটি এবং ২০০৮ সালে চারটি আসনে লড়াই হয়েছিল উন্মুক্ত।
চলতি বছর আসন কমলেও ঢাকায় প্রথমবারের মতো নির্বাচন করতে যাচ্ছে জামায়াত। লড়বেন দলটির সেক্রেটারি জেনারেল শফিকুর রহমান।
তবে বর্তমান সরকারের আমলে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে জামায়তের শীর্ষ নেতাদের ফাঁসির পর বিপাকে পড়া জামায়াত এবার আসন বণ্টনের ক্ষেত্রে আগের মতো জোরাল অবস্থানে ছিল না। নিবন্ধন বাতিল হওয়া দলটি দলীয় প্রতীকে ভোট করার যোগ্যতাও হারিয়েছে। তারা বিএনপির প্রতীক ধানের শীষ ব্যবহার করবে।
যেসব আসনে জামায়াতের প্রার্থী
ঠাকুরগাঁও-২ আবদুল হাকিম, দিনাজপুর-১ মো. হানিফ, দিনাজপুর-৬ আনোয়ারুল ইসলাম, নীলফামারী-৩ আজিজুল ইসলাম, গাইবান্ধা-১ মাজেদুর রহমান, সিরাজগঞ্জ-৪ রফিকুল ইসলাম খান, খুলনা-৫ মিয়া গোলাম পরওয়ার, খুলনা-৬ আবুল কালাম আজাদ, সাতক্ষীরা-২ আবদুল খালেক, সাতক্ষীরা-৪ গাজী নজরুল ইসলাম, বাগেরহাট-৩ শেখ মোহাম্মদ আবদুল ওয়াদুদ, বাগেরহাট-৪ আবদুল আলিম, যশোর-২ আবু সাঈদ মো. সাদত হোসাইন, পিরোজপুর-১ শামীম সাঈদী, ঢাকা-১৫ শফিকুর রহমান, সিলেট-৫ ফরিদউদ্দিন, সিলেট-৬ হাবিবুর রহমান, কুমিল্লা-১১ সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের, কক্সবাজার-২ হামিদুর রহমান আযাদ।