রাজনীতির খবর: জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ও পরে মোট ৯ দিনের মতো মাঠে থাকবে সশস্ত্র বাহিনী (সেনা, নৌ ও বিমান)। আগামী ২৪ ডিসেম্বর তাদের মাঠে নামার কথা। ভোটগ্রহণের পরের দুইদিনও মাঠে অবস্থান করবেন সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা। আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১৩ ডিসেম্বর) আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে কমিশনের বৈঠকে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে। আগামী ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট নেওয়া হবে। ইসি সূত্র জানিয়েছে, আগামী ২৪ থেকে ২৬ ডিসেম্বরের মধ্যে যেকোনও সময় মাঠে নামবে সেনাবাহিনী। তবে এর আগে তারা ১৫ ডিসেম্বর থেকে পরিস্থিতি অবলোকন (রেকি) করবে তারা। সেনাবাহিনীর প্রতিটি টিমের সঙ্গে একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হবে। ইতোমধ্যে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব মোখলেসুর রহমান বলেন, ‘আগামীকাল বৃহস্পতিবারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বৈঠকে সেনাবাহিনীসহ অন্যান্য বাহিনী কতদিন মাঠে অবস্থান করবে, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে। সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা কতদিন মাঠে অবস্থান করবেন, সে বিষয়টিও ওই বৈঠকে চূড়ান্ত হবে।’ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে দেওয়া চিঠিতে বলা হয়েছে, ৩০ ডিসেম্বর একাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ‘মোবাইল কোর্ট আইন, ২০০৯’-এর আওতায় আচরণবিধি প্রতিপালন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সারাদেশে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হয়েছে। আচরণবিধি প্রতিপালন নিশ্চিতকরণের পাশাপাশি নির্বাচনি এলাকার সার্বিক শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা, অপরাধ প্রতিরোধের জন্য ২৮ ডিসেম্বর ২০১৮ থেকে ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ পর্যন্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা প্রয়োজন। সেইসঙ্গে ২৪-২৬ ডিসেম্বর ২০১৮ থেকে ১ জানুয়ারি ২০১৯ পর্যন্ত মোতায়েন করা সশস্ত্র বাহিনী, বিজিবি, কোস্টগার্ড, ব্যাটালিয়ান আনসারের মোবাইল স্ট্রাইকিং ফোর্সের সঙ্গে একজন করে এক্সিকিউটিভ (নির্বাহী) ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের প্রয়োজন হবে। চিঠিতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হয়েছে। জানা গেছে, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের আদলে এবারও ‘ইন এইড টু সিভিল পাওয়ার’-এর আওতায় সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হবে। তারা স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে কাজ করবে। প্রসঙ্গত, দশম সংসদ নির্বাচনে ২০১৩ সালের ২৬ ডিসেম্বর থেকে ২০১৪ সালের ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত মোট ১৫ দিন মাঠে ছিল সেনাবাহিনী। তারা সাধারণ এলাকায় একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও মেট্রোপলিটন এলাকায় কমিশনারের অধীনে দায়িত্ব পালন করে। ওই নির্বাচনে সারাদেশে প্রায় ৫০ হাজার সেনাসদস্য দায়িত্ব পালন করেন। এক্ষেত্রে প্রতিটি জেলা একটি ব্যাটালিয়ন (৭৪০ সদস্য) ও প্রতিটি উপজেলায় এক প্লাটুন (৩৫ জন) সেনাসদস্য দায়িত্ব পালন করেন।